আশংকা একটা ছিলই, ভিড় বাড়লে সংক্রমণ বাড়বে। এদিকে দীর্ঘকালীন কঠোর বিধিনিষেধের বেড়াজালে বন্দী মানুষজনও চাইছিল উৎসব ঘিরে একটু আনন্দ, একটু অন্তত মুক্ত জীবনের আস্বাদ। সেকথা মাথায় রেখেই রাজ্য সরকার করোনা বিধি মেনে পূজোর অনুমতি দিয়েছিল। সাথে সাথে নাইট কারফিউ সাময়িক ভাবে তোলা হয়েছিল।

কিন্তু পূজো মিটতেই দেখা গেল কিছুটা হলেও সংক্রমণের গ্রাফ উর্দ্ধমুখী। তাই আজ ২০ অক্টোবর থেকে আবার জারি করা হচ্ছে নাইট কারফিউ।
মূলত প্রাণের উৎসব দুর্গাপূজোকে কেন্দ্র করেই নিষেধের কড়া রাশ অনেকটা শিথিল করেছিল প্রশাসন। রাত ১১:০০টা থেকে ভোর ৫:০০টা পর্যন্ত দোকানপাট, স্টলের পাশাপাশি রেস্টুরেন্ট-বারও খোলা থাকছিল। প্রতিটি বড় পূজোর কাছাকাছি এবং রেল স্টেশন ও রোড ক্রসিংয়ে রাখা হয়েছিল পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র। এছাড়া পুলিশ ভলান্টিয়াররা ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও কোভিড সচেতনতার কথা বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন, তা সত্ত্বেও উপচে পড়া ভিড় যে ঠেকানো যায়নি সেটাই ছিল স্বাভাবিক।

গতবারের তুলনায় নিয়ম শিথিল হওয়ায় ভিড়ের সংখ্যা এবার মাত্রা ছাড়িয়েছে। তার কিছুটা ফল তো ফলবে, সেটা জানাই ছিল। গত চব্বিশ ঘন্টায় রাজ্যে নতুন সংক্রমণ প্রায় ৭০০ ছাড়িয়েছে। রিপোর্ট বলছে এমনটাই। তবে প্রশাসনের মতে পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে যায়নি। মুখ্যসচিব ও প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে সেই কথাই বলেছেন। তাই সাময়িক ভাবে নিয়মের রাশ শিথিল করা হলেও, সময় থাকতে আবার কিছুটা নিষেধ বেঁধে দেওয়া হলেই সকলের পক্ষে ভালো।
দুর্গাপূজো শেষ। কিন্তু পার্বণ এখনও শেষ হয়ে যায়নি। তাই রাতে ভিড় বাড়তে পারে সেই আশংকায় সময় থাকতেই পদক্ষেপ নিল প্রশাসন। আজ থেকেই আবার চালু হয়ে গেল নাইট কারফিউ। পাশাপাশি মুখ্যসচিব টিকাকরণের মাত্রা বাড়ানোর কথাও বলেছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকদের।
জেলাশাসক ও স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে এলাকায় পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেসব এলাকায় সংক্রমণ বেড়েছে সেখানে বিধিনিষেধ কঠোর হওয়ার পক্ষেই মত দিয়েছেন প্রশাসন।

উল্লেখ্য, ১৯ তারিখ সোমবার থেকেই পুরসভা কর্মী ও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সমস্ত ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পূজো পরবর্তী পরিস্থিতি তাঁরা খতিয়ে দেখছেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকাকরণ ও ল্যাবগুলোতে স্যাম্পল পরীক্ষা জোর কদমে শুরু হয়ে গেছে। করোনা প্রতিরোধে এটাই পরবর্তী পদক্ষেপ।