এবার লড়াইটা বেশ বড়সড়, একই সঙ্গে বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজেপির কাছে। প্রথমত, উপনির্বাচনের ৪ কেন্দ্রের মধ্যে ২ টি আসনেই বিধানসভা ভোটে হেরেছিল বিজেপি। এবার বাকি ২ কেন্দ্রে শুধু লড়াই নয়, রীতিমতো প্রেস্টিজ ফাইট। কেননা জেতা আসন ধরে রাখার চ্যালেঞ্জটাই সবচেয়ে বেশি।

আজ ৩০ অক্টোবরই সেই অপেক্ষিত দিন। খড়দা, গোসাবা, শান্তিপুর ও দিনহাটা এই ৪ কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এর মধ্যে গোসাবা ও খড়দা এমনিতেই বিজেপির হেরে যাওয়া সিট। ফলে সেটা নিয়ে তাঁরা চিন্তিত নন। কিন্তু দিনহাটা ও শান্তিপুর যেকরেই হোক ধরে রাখতে হবে। কারণ এই দুটি আসনে বিজেপি জিতলেও দুই সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন, সে কারণেই ওই দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন সংঘটিত হচ্ছে। আর প্রশ্ন সেখানেই।

দিনহাটা ও শান্তিপুরে বিজেপি প্রার্থীর জেতাটা বড় ফ্যাক্টর কারণ আসলে এ লড়াইয়ের সাথে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার সদস্য নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকারের প্রেস্টিজ জড়িয়ে, দিল্লীরও।
দিনহাটার ভোট নিয়ে সংশয়ের কারণ হল, গত বিধানসভার ফলাফল। এই আসনে নিশীথ প্রামাণিক অত্যন্ত কম মার্জিনে, মাত্র ৫৭ ভোটে জিতেছিলেন। লোকসভার আগে বিজেপিকে নিয়ে যে রমরমা হাওয়া উঠেছিল সেটা এখন আর নেই, উল্টে হাওয়া বিপরীত দিকে ঘুরে গেছে। ঝাঁকে ঝাঁকে বিজেপি থেকে ঘাসফুল শিবিরে ফিরে গেছেন একাধিক বিধায়ক। এই হাওয়ায় দিনহাটার ৫৭ ভোটে জেতা আসনটি আদৌ ধরে রাখা যাবে কি?
শান্তিপুরেও তাই। বিধানসভায় জগন্নাথ সরকারকে জিতিয়েছিল বেশি সংখ্যক মতুয়া সম্প্রদায়ের ভোট। এবারেও সেই ভোট বিজেপি প্রার্থীকে জেতাতে পারে কিনা সেটাই সংশয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এক নির্বাচনী প্রচারে এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই দুটি কেন্দ্রের প্রার্থীকেই কটাক্ষ করে বলেছিলেন, “কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্ব ধরে রাখার লোভেই বিজেপির এইসব নেতারা বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন”।
অপ্রিয় হলেও এই সত্যিটাই আজকের উপনির্বাচনে সংশয়ের জন্ম দিয়েছে। আর সেই কারণেই দলের প্রেস্টিজ ও কর্মীদের মনোবল ধরে রাখতে যেকরেই হোক দিনহাটা ও শান্তিপুরে বিজেপিকে জিততে হবেই। এই উপনির্বাচন তাই বড়সড় একটা চ্যালেঞ্জ বিজেপির কাছে।