কলকাতা পুরনির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল জয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ‘উৎসবের মেজাজে ভোট হয়েছে’। এমনকি এই ভোট মরসুমে ‘সর্বহারা’ বামফ্রন্টও বেশি ভোটের মার্জিনে দ্বিতীয় পজিশনে চলে এল। এদিকে উল্টোদিকে, ‘সর্বহারা’-দের থেকেও কম ভোট পেয়ে কলকাতায় যথার্থেই পায়ের মাটি হারিয়ে বসেছে বিজেপি।
প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে, বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ ‘চারিদিকে আতঙ্কের পরিবেশ’ দেখছেন। তিনি বর্ণনা করে বলেছেন, “চারিদিকে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে রাখা হয়েছে। আমাদের পাঁচবারের কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতের পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে।”
কিন্তু ফলাফল তো বলছে মীনাদেবী পুরোহিত জয়ী হয়েছেন। তাহলে? হিসাব কি গুলিয়ে ফেলছেন দিলীপ ঘোষ?
ওদিকে তৃণমূলের এই ব্যাপক জয়ের কারণ হিসেবে দিলীপ বাবুর দাবি,”নির্বাচনের পরিবেশ নেই তাই বিরোধী ভোটাররা ভোট দিতে বের হননি।” তাঁর আরো সংযোজন ,”তৃণমূল বিরোধীশূন্য করতে চায়। কিছুদিন আগেই উপনির্বাচন হয়েছে। তাতেও ওরা ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। রাজ্যে একদলীয় গণতন্ত্র চলছে। গণতন্ত্র বলে কিছু নেই।”
একথা ঠিক, গণতন্ত্র বিরোধী দলশূন্য হওয়া কাঙ্ক্ষিত নয়। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের এই নিরঙ্কুশ জয় যে বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি মেনে নিতে পারছেনা, সেটাই দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে। তার চেয়েও বড় কথা, বিরোধী দল হিসেবে লুপ্তপ্রায় বামফ্রন্টের ভোটমার্জিনও বিজেপির তুলনায় বেশি। মেনে নেওয়া কঠিন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
অপরপক্ষে, তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন বিজেপির উদ্দেশ্য বলেছেন,”ওরা অনেক আস্ফালন করেছিল, সব ধুলোয় মিশে গেছে। তৃণমূলের কথা ছেড়েই দিন, সিপিএম এবং কংগ্রেসের তুলনায় কম ভোট পেয়েছে বিজেপি।”
অবশ্য দিলীপ ঘোষের শেষ প্রতিক্রিয়া,” যা হবার তাই হয়েছে।”
ফলপ্রকাশের পর এটাকেই আরো একটু বিস্তারিত করে প্রবীণ বিজেপি নেতা তথাগত রায় বলেছেন,”কী হবে তা জানাই ছিল। কিন্তু দুঃখ তো চেপে রাখা যায়না! কালকে ট্যুইট হবে।”