আজ পঞ্চমী। করোনা ঝুঁকি পুরোপুরি না গেলেও, ভ্যাক্সিন ও সংক্রমনের নিম্নমুখী গ্রাফ কিছুটা হলেও স্বস্তিতে ফেলেছে। বাঙালি মেতে উঠেছে খুশির উৎসবে। আর ইতিমধ্যেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কলকাতা ঘুরে অনেকগুলো পূজোর উদ্বোধন সেরে ফেলেছেন। সম্প্রতি নিজের পাড়া ৭৬ পল্লীর উদ্বোধনে ফিতে কাটতে এসেই নস্ট্যালজিক হয়ে পড়লেন তিনি। বাংলার মাটির মেয়ে আরও একবার ধরা সকলকে মুগ্ধ করলেন নিজের সরলতায়।

শনিবার ভবানীপুরের ৭৬ পল্লীর উদ্বোধন করতে গিয়ে আব্দারের ভঙ্গীতেই অনুযোগ করে বসলেন, “এতগুলো পূজো উদ্বোধন করছি কেউ এককাপ চাও দিলনা!”
৭৬ পল্লী এক কাপ চা দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন। বললেন,”আজ আমি খুব খুশি। আজকে তোমরা চা দিয়েছো। এটা আমার নিজের পাড়া। পাড়ার মেয়ে হিসেবেই চেয়ে খাচ্ছি”।
মুখ্যমন্ত্রীর সরলতায় পূজো উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে উপস্থিত সবাই এককথায় মুগ্ধ। প্রায় শ’খানেক প্যান্ডেল উদ্বোধন করে, নিজের পাড়ায় এসে এক কাপ চা খেয়ে ছোটবেলার গল্প বলতে গিয়ে স্মৃতি মেদুর হয়ে পড়লেন — “এখানকার স্কুলেই আমি পড়তাম। আপনারা জানেন এই পাড়ার অলিগলি চিনি আমি! এখানকার একটা স্কুলে চাকরি করতাম। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের পড়াতাম। আমার অনেক ছাত্রছাত্রী আছে এই পাড়ায়”।
এখানকার সুস্বাদু তেলেভাজার কথাও ভোলেননি এখনও! মুখ্যমন্ত্রী বলেন,আপনাদের এখানে খুব ভালো তেলেভাজা পাওয়া যায়, আমি জানি। স্কুল কলেজে যাওয়ার সময় তেলেভাজা খেতে আসতাম সবাই মিলে “।
এদিন ৭৬ পল্লীর পূজো উদ্যোক্তারা সত্যিই পাড়ার মেয়ে মমতা ব্যানার্জীকে দেখতে পেলেন। উল্লেখ্য, মাত্র কয়েকদিন আগেই এই ভবানীপুরের মানুষ বিপুল ভোটে জিতিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর সেই ভবানীপুরেই এক কাপ চায়ের আব্দারে, তেলেভাজার লোভনীয় গন্ধে মানুষের সাথে মিশে গিয়ে আরও একবার প্রমাণ করলেন, মমতার উদাহরণ একমাত্র মমতাই।