একেবারে উল্টো নজির তৈরি হল এবার। তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
সাধারণত নেতা মন্ত্রীসহ জনপ্রতিনিধিদের সম্পর্কে অভিযোগ সম্পর্কে তদন্ত করতে তাদের ডেকে পাঠায় সিবিআই – ইডি দুই গোয়েন্দা সংস্থা। এই ডেকে পাঠানোর প্রক্রিয়া নিয়েই জবাবদিহির তলব করতে চলেছেন মাননীয় স্পিকার।
নারদ ঘুষ কান্ডের মামলা প্রসঙ্গেই উঠে এল এই পাল্টা তলবের সিদ্ধান্ত। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে “নেতা নেত্রীর মতো জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়ার সংশ্লিষ্ট আইনকেই অমান্য করছে সিবিআই”।

সবচেয়ে বড়কথা চার্জশিট তৈরি বা ডেকে পাঠানোর আগে স্পিকারের অনুমতিই নিচ্ছেননা ওই দুই সংস্থা। এই অভিযোগেই চিঠি যেতে চলেছে তাদের কাছে।
নারদ ঘুষ মামলার তদন্তের জন্য অভিযুক্ত সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম ও মদন মিত্রের বিরুদ্ধে কিছুদিন আগেই শমন জারি করে বিধান সভায় দাখিল করে সিবিআই ও ইডি। কিন্তু স্পিকার তা অস্বীকার করে বলেন, অভিুক্তদের কাছে শমন পৌঁছে দেওয়াটা স্পিকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়েনা।

আর ঠিক সেই সূত্র ধরেই আরও অভিযোগ করে তিনি গোয়েন্দা সংস্থার খেয়াল খুশি আচরণের বিপক্ষে প্রশ্ন তুলে ধরেন। স্পিকারের অজান্তে, বিনা অনুমতিতে গোয়েন্দা বিভাগের এই কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছেন তিনি।
কিছুদিন আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করার বিপক্ষে জোর গলায় প্রশ্ন তুলেছিল তূৃণমূল কংগ্রেস। কুনাল ঘোষ পরিস্কার বলেছিলেন “কেন্দ্রীয় সরকার গোয়েন্দা বিভাগকে নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগিয়েই রাজ্যের নেতা নেত্রীদের হেনস্থা করছে”। শুধু তাই নয়, বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকলেও তাঁকে তলব করা হয়নি, উঠেছে এমন অভিযোগও।
এমন এক পরিস্থিতিতে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে স্পিকারের দেওয়া চিঠি সেই প্রশ্নটাকেই আরও জোরালো করে তুলল।