একদিকে যখন করোনা সংক্রমণের হার নিম্নগামী, ভ্যাক্সিন নেওয়ার ফলে বাড়ছে প্রতিরক্ষার ক্ষমতা , ঠিক সেই সময়েই সারা বিশ্বে ত্রাস সৃষ্টি করে দেখা দিল করোনার নতুন ভ্যারিয়ান্ট ওমিক্রন। এমনকি করোনার টিকা তাকে আদৌ প্রতিরোধ করতে পারবে কিনা তা নিয়েও দেখা দিয়েছে সংশয়।
ভয়ের কারণ থাকলেও তার থেকে রক্ষার উপায় বাতলালেন বিজ্ঞানীরা। ওমিক্রন নামক নতুন বিপদ এড়াতে মাস্ক পরা, কোভিড বিধি পালন যেমন জরুরী, পাশাপাশি ডাক্তাররা টিকাকরণের ওপরেও জোর দিচ্ছেন। তবে প্রশ্ন হল দ্রুতহারে সংক্রামক এই নতুন শ্রেণীর করোনায় আদৌ কি পুরোপুরি ঠেকানো যাবে সংক্রমণ? সেটা নিয়ে লাগাতার পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে।
এমনকি কয়েকজন বিশেষজ্ঞ এটাও জানিয়েছেন, ওমিক্রনই কোভিড- ১৯ ভাইরাসের চরম ধাপ। এখানেই করোনা নিজের ক্ষমতাকে সীমাবদ্ধ করে ফেলবে। এবার তারই ওপরে আরো একটু আশার আলো দেখালেন আমেরিকার কয়েকজন বিজ্ঞানী। তাঁদের মতে ওমিক্রন বা কোভিড থেকে রক্ষা পেতে শরীরে একটি বিশেষ উপাদান প্রয়োজন। যা দুর্লভ নয় একেবারেই! অত্যন্ত চেনা একটি উপাদান। রোজকার জীবনযাপন থেকেই যার রসদ মিলতে পারে। কী সেই উপাদান?
বিশেষজ্ঞরা ১৯ টি দেশের ১৬০০ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর ওপর সম্প্রতি একটি সমীক্ষা করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে যেসব রোগীর শরীরে সংক্রমণ চট করে ছড়িয়েছে তাদের শরীরে এই বিশেষ উপাদানেরই ঘাটতি, সেটা হল Vitamin D3.
বিজ্ঞানীরা বলছেন, যাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে এই Vitamin D3 রয়েছে, তাঁরা সংক্রমণকে সহজেই আটকে দিতে পেরেছেন, যদিও বা আক্রান্ত হয়ে থাকেন তার উপসর্গ একেবারেই কম এবং নিরাময়ও ঘটেছে তাড়াতাড়ি।
সুতরাং ওমিক্রন থেকে বাঁচতে কোভিড বিধি, টিকাকরণের পাশাপাশি শরীরে Vitamin D3-র নিয়মিত যোগান অত্যন্ত জরুরী বলে বিজ্ঞানীরা মতামত দিয়েছেন। এর জন্য সমুদ্রের মাছ, প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খাওয়া এবং দিনে অন্ততপক্ষে ২০ মিনিট রোদ্দুরে কাটানো প্রয়োজন।
ওমিক্রন নতুন কোনও বিপদ নয়, কোভিডেরই নতুন রূপ। যাকে গোড়াতেই ছড়ানো থেকে রুখে দিতে পারে Vitamin D3. তাহলেই বিপদ এড়ানো সহজ হয়ে উঠবে।