দেবীপক্ষে এমন ঘটনা স্তব্ধ করে দেবে আপনাকেও। ১৪ মাসের শিশু তৃষার জলে ডুবে আকস্মিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছেননা প্রতিবেশি থেকে প্রত্যক্ষদর্শী সবাই। শিশুটিকে মেরে ফেলা হয়েছে বলেই মনের করছেন তারা।
শান্তিপুর বালিয়াডাঙা পানপাড়ায় সদ্য ঘটে যাওয়া তৃষার মৃত্যুর ঘটনা দাগ রেখে যাওয়ার মতো। বাবা মা তার একবছরের পুত্র ও ১৪ মাসের কন্যা তৃষাকে নিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে ফিরছিলেন।
কালনা ঘাট থেকে নৃসিংহপুর ঘাটে ফেরার জন্য লঞ্চে উঠেছিলেন সবাই। এমন সময় মাঝনদীতে ঘটল ওই আকস্মিক দুর্ঘটনা। যেটিকে দুর্ঘটনা বলতে নারাজ প্রত্যক্ষদর্শীরা। লঞ্চ থেকে বাড়ি ফিরল সবাই, শুধু ফিরলনা ছোট্ট শিশু তৃষা। পূজোয় কেনা নতুন জামাকাপড় তার গায়ে উঠলনা! দুর্গাপূজার বোধনের আগেই জলে বিসর্জন হয়ে গেল তার।
কান্নায় ভেঙে পড়লেন তৃষার বাবা। ভালো করে কথাও বলতে পারছেননা। ওই অবস্থাতেই সংবাদ মাধ্যমে বলা বয়ান অনুযায়ী — লঞ্চে উঠে পরিচিত একজনের সাথে দেখা হওয়ায় তিনি কথা বলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

ইতিমধ্যে লঞ্চ ছেড়ে দেয়। তৃষা তার মায়ের কোলেই ঘুমিয়ে পড়েছিল। ওরা একটু দূরেই বসেছিলেন।
লঞ্চ মাঝনদীর কাছাকাছি যেতেই হঠাৎ ঝুপ করে শব্দ হয়। জলে কী পড়ল বলে সকলেই শোরগোল করে ওঠেন। সকলের সাথে তৃষার বাবাও খুজঁতে গিয়ে দেখেন মেয়ে নেই! স্ত্রী তাপসীও নিথর। পাশের এক মহিলা জানান ‘জলে ফেলে দিয়েছে’।

এই কথা থেকেই সন্দেহ ঘনায়। আরও দুই প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান থেকে জানা গেছে — মেয়ে পড়ে যাওয়ার সময় কাউকে ডাকেননি তাপসী, শোনা যায়নি কোনো আর্তনাদ! আরেকজনের দাবি মেয়ে পড়ে যায়নি, মেয়েটিকে জলে ফেলে দিয়েছে তার মা।
কিন্তু কেন এমন করলেন তিনি! পরিবার পরিজন কিছুই খুলে বলছেননা। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, কন্যাসন্তান হওয়াতেই এমন ঘটালেন তার জন্মদাত্রী মা। যদিও পরিবারের সদস্যদের মতে ছোটোখাটো অশান্তি ঝামেলা মাঝে মাঝে হলেও এমন কিছু ঘটেনি যার ফলে মেয়েকে জলে ফেলে দিতে হয়।
পরিবারের লোকজন তথ্য গোপন করছেন বলেহ মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনার পর তৃষার মা বারবার অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন, ফলে তাঁর বয়ান এখনও নেওয়া যায়নি। সত্য অনুসন্ধানে তদন্ত করছে পুলিশ।