পূর্ব আগরতলার থানার বাইরে একদল বিজেপি দুষ্কৃতীর হাতে ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হলেন তৃণমূল কর্মীরা। কার্যত যেভাবে থানার আওতার মধ্যেই এতবড় রক্তারক্তি কান্ড ঘটাল বিজেপি, তাতে ত্রিপুরার প্রশাসন রীতিমতো প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

শনিবার থেকেই উত্তপ্ত ত্রিপুরা। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচারসভা ভন্ডুল করার জন্য মাইক চালিয়ে গান বাজিয়ে নানাভাবে চেষ্টা করেও বিজোপি ব্যর্থ হয়। আর এরপরই মিথ্যে মামলা সাজিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় সায়নী ঘোষকে। তৃণমূলের তথ্যসূত্র তাই বলছে।
একদিকে যখন থানার বাইরে বিজেপি কর্মীরা তান্ডব চালাচ্ছিল তৃণমূল কর্মীদের ঘিরে, সেইসময় থানার ভেতরে সায়নী ঘোষকে আটকে রেখে জেরা করার নামে হেনস্থা করছিল পুলিশ। এই পরিস্থিতি উল্লেখ করেই কুনাল ঘোষ গতকাল বলেছিলেন, “হামলাকারীরা গ্রেপ্তার হলনা, গ্রেপ্তার হল সায়নী ঘোষ!”

এইসমস্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে জোরালো বক্তব্য রেখেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সায়নীর গ্রেপ্তার এবং তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলার খবর পাওয়া মাত্রই ত্রিপুরা রওনা হতে চেয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু রাতে বিমান ল্যান্ড করানোর অনুমতি নিয়ে সমস্যা দেখা দেওয়ায় রবিবার তিনি যেতে পারেননি। আজ সোমবারই অভিষেকের ত্রিপুরা যাওয়ার কথা রয়েছে।
গতকাল যেতে না পারলেও ট্যুইটারে বিপ্লব দেবের উদ্দেশ্যে হুঙ্কার ছেড়ে বলেছেন, “বিপ্লব দেব এতই নির্লজ্জ যে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকেও পাত্তা দিচ্ছেননা। তৃণমূল সমর্থক ও মহিলা প্রার্থীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার পরিবর্তে বারবার তাঁদের ওপর হামলা চালাতে গুন্ডাবাহিনী পাঠাচ্ছেন। বিজেপির শাসনে গণতন্ত্র প্রহসনে পরিণত হয়েছে “।
রবিবার থানার বাইরে বিজেপির অতর্কিত হামলায় তৃণমূল কর্মীরা গুরুতর আহত হয়েছেন, তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। সংবাদ মাধ্যমে সুবল জানান, “পুলিশকে কাজে লাগিয়ে এভাবে তৃণমূলের পথ আটকাবার চেষ্টায় করছে বিজেপি। নেতাকর্মীদের ওপর ইটবৃষ্টি চলছে, পুলিশ নীরব দর্শক!” কুনাল ঘোষ বলেন, “থানায় ডেকে এনে মেরে ফেলবার পরিকল্পনা ছিল”।

ত্রিপুরার হিংসার জেরে কলকাতায় মুরলীধর সেন লেনে বিজেপির পার্টি অফিসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা।