কৃষক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে কৃষকদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়ার বিপক্ষে দাঁড়ালেন কৃষক আন্দোলনের অন্যতম নেতা রাকেশ টিকাইত। প্রধানমন্ত্রীর সম্মান ক্ষুণ্ণ হোক, কৃষকরা সেটা চাননা, জানালেন তিনি। পাশাপাশি কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েও বললেন, প্রত্যাহার করে নেওয়া আইন কোনওভাবেই যেন ফেরানোর চেষ্টা না করা হয়।
সম্প্রতি ট্যুইটার মারফত ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকাইত বলেছেন, “আমরা চাইনা প্রধানমন্ত্রী ক্ষমা চান। আমরা বিদেশে তাঁর সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে চাইনা।” সাথে এটাও লিখেছেন,”কৃষকদের সম্মতি ছাড়া কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবেনা। দিল্লী আমাদের দাবি কানে তোলেনি।” রাকেশ টিকাইতের এই ট্যুইটবার্তা ঘিরেই আলোচনা শুরু হয়েছে।
তবে কি আইন প্রত্যাহার নিয়ে সংশয় এখনও কাটেনি বলেই কৃষক নেতা আগাম হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন?
প্রসঙ্গত, কৃষিতে বেসরকারি সংস্থার বিনিয়োগ সংক্রান্ত ৩ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে পাঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশের অসংখ্য কৃষক গত বছরের নভেম্বর থেকে টানা এক বছর দিল্লীর রাজপথে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে গিয়েছিলেন। রক্তপাত ও মৃত্যুর ঘটনাও তাঁদের দমাতে পারেনি। গত মাসে গুরুনানক জন্মজয়ন্তীতে প্রকাশ্যে এই ৩ আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
কিন্তু সম্প্রতি নাগপুরের এক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর মন্তব্য করেন “আমরা কৃষিআইন সংশোধন করেছিলাম। স্বাধীনতার প্রায় ৭০ বছর পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কৃষি আইন সংশোধন করা হয়েছিল। কিন্তু কারুর কারুর সেটা পছন্দ হয়নি।” পাশাপাশি এটাও বলেছেন, “সরকার হাল ছাড়েনি। আমরা একধাপ পিছিয়েছি। কিন্তু আবার আমরা এগোবো। কারণ কৃষকরাই ভারতের অর্থনীতির মেরুদন্ড।”
আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই আইন প্রত্যাহার ও ক্ষমা চাওয়ার পূর্বাভাস পেয়েই সম্ভবত রাকেশ টিকাইত সচেতন বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা না চাওয়ার উল্লেখ এবং কৃষকদের অনড় অবস্থানের ইঙ্গিত দিলেন! এমনটাই অনেকে মনে করছেন।
উল্লেখ্য, রাকেশ টিকাইত জানিয়েছেন তাঁদের আন্দোলন মঞ্চ কোনও রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম নয়, এমনকি তাঁরা ভোটেও লড়বেননা। তবে কৃষক মোর্চার পক্ষ থেকে জোরালো দাবি রেখে তিনি এদিন সোজাসুজি বললেন, “উত্তরপ্রদেশে কারা ক্ষমতায় আসবে তা কৃষকরাই ঠিক করবেন।