সংক্রান্তি আসন্ন। সব তীর্থের সেরা তীর্থ গঙ্গাসাগরের প্রস্তুতিও শুরু। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, মেলার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে কাল মঙ্গলবারই রওনা দিচ্ছেন তিনি। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করে একদিন এগিয়ে আনা হয়েছে। মঙ্গলবার মেলায় যাওয়ার কথা ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী জানান,”কালই গঙ্গাসাগর যাচ্ছি। পৌঁছে বিকেল ৪টে নাগাদ পূজো দেব।”
৩দিনের সফরের পরিকল্পনা নিয়ে গঙ্গাসাগর যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘোষণার পাশাপাশি কী কী বিশেষ ব্যবস্থা এই বিরাট মেলাকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে, তার একটা বিবরণীও দিয়েছেন তিনি।
১০ টি দমকল কেন্দ্র, ১০টি অস্থায়ী শৌচাগারের পাশাপাশি প্রাঙ্গণেই থাকছে ‘আরটিপিসিআর’ প্রক্রিয়ায় কোভিড টেস্টের ব্যবস্থা। পবিত্র সংক্রান্তির পাশেই সংক্রমণের বিপদের কথাও মাথায় রাখতে হবে। তাই আরো থাকছে ৬০০ বেডের অস্থায়ী কোভিড হাসপাতাল এবং ১১টি কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র। ৮ থেকে ১৭ জানুয়ারি সময়কালীন সাগরযাত্রীদের জন্য ৫ লক্ষ টাকার বিমার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
গঙ্গাসাগর মেলার জন্য জরুরী ভিত্তিকে সমস্ত দিক নজরদারির জন্য সজাগ মুখ্যমন্ত্রী আরো জানান, “ভিড় সামলানোর জন্য থাকছে পিলগ্রিমেজ ম্যানেজমেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম। থাকছে কোভিড সফটওয়্যার, তাতে করোনা সম্পর্কিত তথ্য ও হাসপাতালের বেডের ব্যাপারে তথ্য দেওয়া থাকবে। তাছাড়া দুর্ঘটনার মোকাবিলা করতে ২১০০ সিভিল ডিফেন্সের কর্মী মোতায়েন করা হচ্ছে।”
মেলাপ্রাঙ্গন স্বচ্ছ রাখার দিকেও বিশেষ নজরদারি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। অস্থায়ী শৌচাগারের পাশাপাশি ৭টি ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট টিম ও ৩টি ইকার্টের ব্যবস্থার কথা জানিয়ে তিনি বলেছেন, “আমাদের লক্ষ্য ইকোফ্রেন্ডলি ও প্লাস্টিক বিহীন গঙ্গাসাগর মেলা। বিচ পরিষ্কার রাখার জন্য ২৫০০ ভলান্টিয়ার থাকবে, এছাড়াও সেলফ হেলথ গ্রুপের মাধ্যমে লোকজনকে সচেতন করা অব্যাহত থাকবে। প্রত্যেক এন্ট্রিগেটে থাকবে একটি করে মে আই হেল্প ইউ ক্যাম্প, হিন্দিভাষীদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা।”
তবে সব ব্যবস্থাকে ছাপিয়ে গিয়েছে আশ্চর্য অনলাইন ব্যবস্থা ‘ই-স্নান’। করোনা মহামারীর কথা মাথায় রেখেই এই ব্যবস্থা। অনলাইন অর্ডারের মাধ্যমে গঙ্গাসাগরের পবিত্র জল বাড়ীতে পৌঁছে দেওয়া হবে এই পদ্ধতির মাধ্যমে। এছাড়াও থাকছে অনলাইন ‘প্রসাদ প্যাক’।
যারা শারীরিক ভাবে উপস্থিত হতে অপারগ, তাদের জন্যই দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলা প্রশাসনের এই বিশেষ উদ্যোগ।