আপনি প্রথমে ভাববেন শুধুই এক মূর্তি। তারপর দেখে চমকিত হবেন যখন সিংহাসন ছেড়ে সটান উঠে দাঁড়িয়ে আশীর্বাদ করবেন গণপতি বাপ্পা! নিশ্চয়ই ভাবছেন সেজেগুজে দাঁড়িয়েছেন আসল কোনো মানুষ!
না সেসব কিছুই না। আসলে এ এক অন্য ম্যাজিক।
গড়িয়াহাটের হিন্দুস্থান পার্ক পূর্বাচল দুর্গোৎসব কমিটির আয়োজিত পূজোয় রয়েছে এমনই এক চমক।
একসময় হইচই পড়ে গেছিল গণেশ দুধ খাচ্ছে সংবাদে। রাতারাতি সে গণেশ একেবারে সেলিব্রিটি! ধর্মীয় প্রতিনিধিরাও দেদার ফায়দা লুটেছিল তখন। কিন্তু একসময় প্রকাশ পেয়ে যায় আসলে সেটা ছিল ম্যাজিক, রীতিমতো বিজ্ঞানসম্মত কলাকৌশলে সৃষ্ট।
হিন্দুস্থান পার্ক পূর্বাচল দুর্গোৎসব কমিটির সাথে অবশ্যই সেই ‘দুধ খাওয়া গণেশ’ কান্ডের কোনো সম্পর্ক নেই। নেহাতই প্রসঙ্গক্রমে বলা। তবে মিল আছে। এই গণেশও মূর্তি থেকে প্রাণবন্ত হয়ে আশ্চর্য এক ম্যাজিকবলে উঠে দাঁড়াচ্ছেন আশীর্বাদ করতে! (ভিডিও দেখতে নিচের লিঙ্ক স্পর্শ করুন —
পূজামণ্ডপের প্রবেশপথের একেবারে মুখেই, রাস্তার মাঝখানে সাজানো একটা সিঙ্গল মঞ্চ। যেখানে রাজকীয় ভঙ্গিমায় গণেশ বসে রয়েছেন। নিচে লেখা — গণেশের দুপায়ে হাত দিয়ে আশীর্বাদ গ্রহণ করুন। আর দুপায়ে হাত দিতেই আসন ছেড়ে উঠে আশীর্বাদের ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে পড়ছেন গজানন! এ যে অবিশ্বাস্য!
না বিশ্বাস অবিশ্বাসের কিছু এখানে নেই। পুরোটাই বিজ্ঞানসম্মত। আসলে গণেশের দুপায়ের দুই আঙুলে রয়েছে আংটি জাতীয় বোতাম। হাতের স্পর্শ পেলেই তাতে বিদ্যুৎ সঞ্চালিত হচ্ছে, এবার যথারীতি ওই তড়িৎ সঞ্চালনের ফলেই উঠছেন আর বসছেন ইলেক্ট্রনিক গণেশ । পুরো ব্যাপারটা মূর্তির নিচেই উল্লিখিত রয়েছে। একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে স্থানীয় ‘মা ইলেকট্রিকের’ জাদুস্পর্শেই গণেশ বাবার প্রাণ প্রতিষ্ঠা।

তবে মজা জমে গেছে দারুন। শিশুরা খুব আনন্দ পাচ্ছে এই জ্যান্ত ঠাকুর দেখে। বড়রাও কম যাননা, সন্ধের ঝিকিমিকি আলোকসজ্জায় গণেশের সাথে সেলফি তোলার ধুম পড়ে যাচ্ছে প্রতি সন্ধ্যায়। পাশে রয়েছে প্রণামির বাক্স, তাতে গণেশ বাপ্পার উদ্দেশে বেশ ভালোই জমা পড়ছে। যার ফলে বারবার ওঠা বসা করলেও বেশ হ্যাপি দেখাচ্ছে গণেশকে। দেরি না করে আপনিও হ্যাপি গণেশের দর্শন নিয়ে আসুন, তাড়াতাড়ি।