বাচ্চাটা চিপস খাওয়ার আব্দার করেছিল। দোকান থেকে কেনা প্যাকেটের চিপস খেতে গিয়ে এমন মর্মান্তিক পরিণতি হবে তা কে জানত?
চিপস খেতে গিয়ে ৬ টি গুলি খেল ওই শিশু। সঠিক চিকিৎসা না পেলে তার প্রাণ বিপন্ন।
এই মর্মান্তিআ ঘটনা ঘটেছে নদীয়ায়।
টোটো চালক রাজীব মন্ডল ও তার স্ত্রী সুলেখা মন্ডলের ১৪ মাসের সন্তান রুদ্র।
আর পাঁচটা বাচ্চার মতোই ওই শিশুটি হঠাৎ প্যাকেটের চিপস খাওয়ার বায়না করায় কিনে দেন অভিভাবকরা। তারপর আর তারা খেয়াল রাখেননি। আর তাতেই এই বিপত্তি। ঘটনাটা সাংঘাতিক।

চিপসের প্যাকেটের ভেতরেই ছিল ছোট খেলনা বন্দুক ও তার সাথে ৬ টা ছোট ছোট গুলি। চিপস খেতে গিয়ে ১৪ মাসের অবোধ শিশু ওই গুলিগুলো সবকটিই খেয়ে ফেলে রক্তারক্তি কান্ড!
বাচ্চাটির ঠাকুমা আচমকা লক্ষ্য করেন শিশু রুদ্রর রক্তাক্ত মুখে একটা গুলি আটকে রয়েছে। সাথে সাথে তাকে নিয়ে কৃষ্ণনগর গ্রামীন হাসপাতালে ছুটে যান বাবা মা সহ সবাই। গ্রামীণ হাসপাতালে এক্সরে রিপোর্টে দেখা যায় শিশুটির পেটে গুলিগুলো ঢুকে জটিল ক্ষত তৈরি করেছে। কেস এমার্জেন্সি বোঝামাত্রই চিকিৎসকরা কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

ছোট্ট রুদ্রর মা সুলেখা মন্ডল ঘটনাটি বর্ণনা করে বলেছেন, তাঁদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। এখন কীভাবে শিগুটির চিকিৎসা করিয়ে ঠিক করাবেন ভেবে পাচ্ছেননা। কার্যত তিনি এই মূহুর্তে অসহায়। বাচ্চাটির অবস্থাও বিপজ্জনক।
কথাপ্রসঙ্গে জানা গেছে ওই চিপসের প্যাকেটের ভেতর যে খেলনা বন্দুক আর গুলি রয়েছে তা অভিভাবকরা বুঝতেই পারেননি। এমনকি প্যাকেটের গায়েও কিছু লেখা ছিলনা! এত বড় ভুল হল কীকরে?
দোকানে সারি সারি ঝুলতে থাকা চিপসের রঙচঙে প্যাকেটগুলো খুব স্বাভাবিক ভাবেই শিশুদের শিশুদের আকর্ষণ করে। অনেকসময় তাদের আব্দার মেটাতে বাবা মা সেগুলো কিনে দেন। এই ঘটনা চোখ খুলে দেওয়ার মতো।
সুতরাং প্রত্যেক অভিভাবকের কাছে অনুরোধ দয়া করে নজর দিয়ে দেখুন, প্যাকেটে লেখা না থাকলেও, পরীক্ষা করে দেখুন শিশুর হাতে কী দিচ্ছেন। আব্দার মেটাতে গিয়ে ভুল করেও বিপদ তুলে দেবেননা। সচেতন থাকুন, সুরক্ষিত থাকুন।