কাবুল বিমানমন্দরে রক্তের দাগ এখনও শুকোয়নি। মিলিয়ে যায়নি খোরাসানের বারুদগন্ধ। তারই মধ্যে আমেরিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনল তালিবানরা।
অভিযোগ — নিরীহ মানুষ হত্যার।

২৭শে আগস্ট বিমানবন্দর বিস্ফোরণেদ পরদিনই মার্কিন প্রেসিডেন্টর কথামতো খোরাসানে আইএস জঙ্গি ঘাঁটি রয়েছে অনুমান করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। না কোনোরকম আত্মঘাতী হামলা নয়। উন্নত প্রযুক্তিগত ড্রোনের সাহায্যে আইএস ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা। এই নিধনযজ্ঞে অকারণ প্রাণনাশের সম্ভাবনা নেই, একথাই মনে করা হয়েছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনেরও দাবি ছিল এমনটাই। কিন্তু আজ তালিবানরাই উল্টো অভিযোগের তীর ঘুরিয়ে দিল তাদেরই দিকে।
আজ তালিবানের এক মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ্ মুজাহিদ সরকারি সংবাদ মাধ্যম বলে, বিমানবন্দরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণকারী আইএস(খোরাসান) মূল লক্ষ্য হলেও ৭ জন নিরীহের নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।

“ যেভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তালিবানদের না জানিয়ে বিদেশের মাটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে তা অনৈতিক” এমন ইঙ্গিতই উঠে এসেছে ওই তালিবান মুখপাত্রের কথায়।
আমেরিকার এই ড্রোন হামলা পুরোটাই অনুমান নির্ভর ছিল। হামলায় নিশ্চিত রূপে কাবুল বিস্ফোরণের মূল চক্রী নিহত হয়েছে তা এখনও বলা যাচ্ছেনা। তার ওপর তালিবানি অভিযোগ যদি নির্ভুল হয় তবে স্বভাবতই জবাবদিহি করার মুখে ঠেলে দিতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে—কেননা নিরীহ মানুষের হত্যা যে মাটিতেই হোক তা অনৈতিক। যদিও এ অভিযোগ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কতটা স্বীকার করেন সেটাই দেখার।
তালিবান আফগানিস্তান দখলের পর থেকে আইএস-এর সাথে তাদের যোগসাজশ আছে এমনটাও মনে করা হয়েছে। তালিবানরা যদিও তা স্বীকার করেনি। ওদিকে পাক – আফগান সীমান্তে পাখতুনখোয়ায় এক সংঘর্ষে ৫ পাকসেনার মৃত্যুর খবরে সন্ত্রাস ক্রমশই ভোল বদলাচ্ছে। “রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় উলুখাগড়ার প্রাণ যায়” পুরোনো সেই প্রবাদে রাজা এখানে ‘সন্ত্রাস’। আর উলুখাগড়া! কখনো তা নিহত সেনা, কখনো নিরীহ নাগরিক।
