বহিরাগত হওয়া সত্ত্বেও মাত্র আড়াই (বা তিন) মাসের প্রস্তুতিতে ত্রিপুরায় ২০ শতাংশ ভোট পাওয়াটাকেই ভালো ফল বলে প্রচার করছে তৃণমূল কংগ্রেস। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন ‘খাতা খোলা হল। এবার আসল খেলা হবে’। ঠিক তখনই এক চমকপ্রদ তথ্য মেলে ধরলেন ত্রিপুরা বিজেপির মন্ত্রীসভার সদস্য রতনলাল নাথ।

শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ এদিন ট্যুইট করে বলেছেন, “যেসব বহিরাগতরা ত্রিপুরায় এসে বলছেন তিন মাসে ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই আজ থেকে ২২ বছর আগে তৃণমূল কংগ্রেস। ২৬.৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল, এরপরেও ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসা তো দূরের কথা প্রার্থী খুঁজে পায়নি।” তারপরেই যোগ করেছেন, “ওরা এখন বলছে আসল খেলা হবে। ত্রিপুরার মানুষ আগেও এদের প্রত্যাখ্যান করেছে আর ভবিষ্যতেও করবে।”
এই বক্তব্যের সপক্ষে বিজেপি নেতা রতনলাল ১৯৯৯ সালের জেনারেল ইলেকশন শিরোনাম এবং পশ্চিম ত্রিপুরার লোকসভা উল্লেখ করা একটি তালিকার ছবি দিয়েছেন, যাতে হাইলাইট করা রয়েছে AITC-র সুধীররঞ্জন মজুমদার ২৬.৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
এই তথ্যটি প্রকাশ করে তিনি স্পষ্টতই বোঝাতে চেয়েছেন, ত্রিপুরায় তৃণমূলের ‘খাতা খোলা’ নতুন কিছু নয়, আগেও এই কান্ড ঘটেছে। ঠিক তেমনই রতনলাল নাথের এই বক্তব্য এটাও নির্দেশ করছে ত্রিপুরায় প্রথমবার পা রাখেনি তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সূত্র ধরে নেটনাগরিকরা প্রত্যুত্তরে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘তাহলে তৃণমূলকে ত্রিপুরায় আদৌ বহিরাগত বলা যায় কি?’
তবে বিজেপি নেতা তথা ত্রিপুরা রাজ্যের মন্ত্রী রতনলালের করা ট্যুইটটি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।