তথাগত রায় ‘রিটার্ন এগেইন’। এভাবেই ব্যাপারটাকে দেখছে রাজনৈতিক মহল। কারণ কিছুদিন আগেই বলেছিলেন, ‘আপাতত বিদায় বঙ্গ বিজেপি’। গেলেন গেলেন রব উঠলেও, ছোট্ট করে লেখা টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন অ্যাপ্লাই-র মতোই লিখেছিলেন ‘পুরভোটের অপেক্ষায় রইলাম’। কথা রেখেছেন বিজেপির বর্ষীয়ান সদস্য নেতা তথাগত রায়। ত্রিপুরার পুরভোট মিটতেই ট্যুইটারে আবার মূল্যবান মতামত নিয়ে হাজির তিনি।

দলকে শোধরাতে যা করবার করবেন, যা বলবার প্রকাশ্যেই বলবেন, একরকম ঘোষণাই করে দিয়েছিলেন বিজেপির অভিভাবক সুলভ এই নেতা। গতকাল ফলাফল প্রকাশের পর গোটা ত্রিপুরায় যখন গেরুয়া আবির উড়ছে, জয়ের উল্লাসে মেতে উঠেছে পদ্মশিবির, ঠিক সে মূহুর্তেই তৃণমূলের ‘খাতা খোলা’ নিয়ে অ্যালার্ট সিগন্যাল দিলেন তথাগত রায়। এদিন ট্যুইট করে তিনি লেখেন, “ত্রিপুরায় তৃণমূলের উত্থান আসলে বাংলায় বিজেপির পরাজয়েরই প্রতিফলন”।
এরপর তিনি বড় বড় ক্যাপিটাল ইংরেজি হরফে লিখেছেন, “বহিরাগতদের নিয়ে ভোটে জেতা যায়না”।
আপাত অর্থে এই বাক্যে ত্রিপুরায় তৃণমূলের সার্বিক পরাজয়ের উল্লেখ বোঝালেও অনেকে এই কথার ভেতরে বিজেপি বিরোধী বক্তব্যের আভাসই পেয়েছেন। ‘বঙ্গের প্রতিফলন’ থিওরি মেনে, ঠিক যেমন ত্রিপুরায় বহিরাগত তৃণমূল তেমনি বাংলায় ভিনরাজ্য থেকে আগত নেতাদেরই কি ‘বহিরাগত’ ইঙ্গিত করতে চাইলেন তথাগত রায়!
ভুললে চলবেনা , যাদের বিরুদ্ধে দলীয় সমালোচনায় উনি সরব, তাদেরকেও বিজেপিতে বহিরাগত বলেই চিহ্নিত করেছেন বরাবর। আজ আরো একবার তৃণমূলের সূত্র ধরে তির্যক ভঙ্গিতে বিজেপিকে নিশানা করলেন তথাগত।
উল্লেখ্য, মাত্র ২ মাসের প্রস্তুতিতে একটি আসন লাভ করাটাকে সাফল্যের প্রথম সিঁড়ি হিসেবেই দেখছেন কুনাল ঘোষ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ। এদিন তথাগত রায়ের বক্তব্য কিছুটা সেই দৃষ্টিভঙ্গিকেই সমর্থন করল বলেই রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন ।