ত্রিপুরায় বিরোধীরা এক সুরেই সুর মেলাচ্ছে। সিপিএম, তৃণমূল কংগ্রেস দুই দলেরই দাবি — পুরভোট বাতিল করে পুনর্নির্বাচন করতে হবে।
২৫ নভেম্বর পুরভোটকে কেন্দ্র করে একাধিক অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। একদিকে সিপিএমের বুথে ভাঙচুর , অপরদিকে ভোট কারচুপি ও কর্মীদের মারধোরের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
ভোটের দিন সন্ত্রাসের প্রতিবাদে পূর্ব আগরতলা থানায় বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। অন্যদিকে পশ্চিম আগরতলা থানায় অবস্থান বিক্ষোভ চালায় সিপিএম। আন্দোলন রুখতে তৃণমূলের স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান সুবল ভৌমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভোটপূর্ব প্রস্তুতির মতোই পুরভোটের দিনও অশান্তিতে উত্তাল হল ত্রিপুরা। ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী তপন বিশ্বাস এদিন বিজেপি কর্মীদের দ্বারা আক্রান্ত হন। অপরদিকে ৮ নম্বর ওয়ার্ডেও তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা এবং সিপিএমের ক্যাম্পে ভাঙচুর চালায় দুস্কৃতীরা। উল্টোদিকে বিজেপিও পাল্টা অভিযোগ তুলেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে। তাদের অভিযোগ সিপিএম কর্মীরা বিজেপি কর্মী সুকুমার পালকে মারধোর করেছে।
এদিকে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী সত্ত্বেও ১৩ নম্বর ওয়ার্ড ও অন্যান্য বুথে ঢালাও রিগিংয়ের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এই পরিস্থিতিতে ভোট সাঙ্গ হবার পর তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দলের পক্ষ থেকে জানান, “শাসকদল জনসমর্থন হারিয়েছে। পায়ের তলার মাটি দুর্বল। মানুষ অবাধে ভোট দিতে পারলে শাসকদল ক্ষমতায় আসতনা। সকাল থেকে একতরফা ভাবে ভোট করেছে। ত্রিপুরায় গণতন্ত্র নেই, নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হয়েছে। এই নির্বাচন বাতিল করা হোক। পুনর্নির্বাচন হোক সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে”।

শাসকদল বিজেপি অবশ্য ১৮০ ডিগ্রী অ্যাঙ্গেলে ঘুরিয়ে সমস্ত অশান্তির দায় বিরোধীদেরই ঘাড়ে চাপিয়েছে। বিজেপির দাবি সিপিএমের ক্ষমতা কমে যাওয়ায় তারাই তৃণমূলকে ত্রিপুরায় আমদানি করে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করতে চেয়েছে। ত্রিপুরায় মানুষের অধিকার রক্ষার কথা যদি কোনও দল ভেবে থাকে সেটা বিজেপি।
ভোটেই তার প্রতিফলন ঘটেছে বলেই বিজেপির দাবি। যদিও তা সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে নতুন ভাবে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেস।