ইন্দিরা গান্ধীর পর ভারতের দ্বিতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান মমতাকেই। এমন ইচ্ছাই প্রকাশ্যে রাখলেন বিজেপি বিধায়ক আশিষ দাস।
ত্রিপুরায় ক্রমশই শক্তিশালী হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। উল্টোদিকে বিপ্লব দেবের সরকারের ভিত্তিমূলে চিড় ধরতে শুরু করেছে। ত্রিপুরায় বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব এবার আরও স্পষ্ট হয়ে উঠল।

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিপক্ষে কিছুদিন ধরেই সরব ছিলেন বিধায়ক আশিষ দাস। তাঁর চোখে “আইন সকলের জন্য সমান। কিন্তু ত্রিপুরায় তা নেই”– বলেছিলেন।
আইন শৃঙ্খলার তোয়াক্কা না করে যা ইচ্ছে তাই করছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব, এমনকি আইনের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যও করেছিলেন সিভিল সার্ভিস আধিকারিকদের একটি সভায়। মেনে নিতে পারছিলেন না বিজেপির একনিষ্ঠ ভক্ত আশিষ দাস। রাজ্যে ১৪৪ ধারা জারি করেও নিজে সে আইন ভেঙে সভা করছেন বিপ্লব দেব, সংঘাত শুরু তখন থেকেই। যদিও বিজেপি দল ও মাননীয় নরেন্দ্র মোদীর প্রতি আস্থা ছিল তখনও। তাই সরল ভাবেই বলেছিলেন, “প্রধানমন্ত্রীর উচিত এসে দেখে যাওয়া ত্রিপুরায় কী চলছে!”
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মিছিল করতে না দেওয়া, সিপিআইএমের পার্টি অফিস ভাঙচুরের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। এবার সত্যিই তাঁর ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেল।
সংবাদ মাধ্যমেই প্রকাশ্যেই বললেন,”কোনটা মুখ আর কোনটা মুখোশ বুঝে নিয়েছেন মানুষ। ফলে মা মাটি মানুষকে বেছে নিয়েছে তারা”।
আর তাই তিনিও সেই মা মাটি মানুষের পথই বেছে নিলেন।
আগামী ৬ সেপ্টেম্বর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন বিজেপি বিধায়ক আশিষ দাস। শুধু তাই নয়, মমতা ব্যানার্জীর ব্যাপক জয়ের পর আশিষ দাসের কাছে কালীঘাটই একমাত্র তীর্থক্ষেত্র, যেখানে এসে তিনি বিজেপি দলে থাকার প্রায়শ্চিত্ত করতে চান– এমন ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন।