ত্রিপুরায় পুরভোটের গনণার পরেই আগামী বিধানসভায় নিজেদের অবস্থান ঘোষণা করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। ১টি মাত্র আসনে জিতলেও ‘খাতা খুলেছে’ বলেই মনে করছে তারা।

জয়ের হিসেবে অবশ্য বিজেপি শিবিরের গেরুয়া আবিরই উড়ছে ত্রিপুরায়। মোট ৩৩৪ টি আসনে ৩২৯ টিতেই জিতে গেছে বিজেপি। বামেরা ৩ টি আসনে জিতলেও হাত থেকে বেরিয়ে গেল আগরতলা পৌরসভা। তিপ্রা মথা ১টি এবং তৃণমূল পেল ১ টি আসনে জয়।
ফলাফল প্রকাশ হতেই সংবাদ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। তিনি বলেন , “সমস্ত ত্রিপুরাবাসীর এই জিত। যারা ত্রিপুরাবাসীকে লাগাতার আক্রমণ করেছেন তাঁদের যোগ্য জবাব দিয়েছে ত্রিপুরা”।

তবে মাত্র ১ টি আসন পেলেও বিরোধী হিসেবে দ্বিতীয় স্থান জয় করে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইটে জানান, “সবে তো শুরু। এবার আসল খেলা হবে”।
প্রতিক্রিয়া দেন কুনাল ঘোষও। সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, “বামেরা সুযোগ পেয়ে ভালো ফল করেছে। আর সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস মাত্র আড়াই মাস খেটেছে। আর তাতেই খাতা খোলা হয়ে গেছে। দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছি আমরা। ট্রেন্ট সেট হয়ে গেছে। অনেক ওয়ার্ডেই ব্যবধান খুব কম। এটাই তৃণমূলের উথ্থান”।
এরপর ট্যুইটার মারফত কুনাল ঘোষ বলেছেন, “ত্রিপুরায় ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’ কাজ করছে। দু মাসের সংগঠন তৃণমূলের। ওদের (বিজেপির) হামলা, মামলা, ১৪৪ ধারা, ছাপ্পা। সব তথ্য আসছে। অবাধ ভোট হলে বিজেপি থাকত না। আমরা উৎসাহিত।মানুষ সাড়া দিচ্ছেন। ধন্যবাদ। পরের কাজ শুরু। ২০২৩ আমাদের”।
এভাবেই ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ণিত ‘নিঃশব্দ বিপ্লবের’ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল বলেই মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস।