বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর মতে পশ্চিমবঙ্গ অচিরেই বাংলাদেশ হয়ে উঠবে। যদিও এ বক্তব্যের সাথে বর্তমান ইতিহাসের কোনও সম্পর্ক নেই। শুভেন্দুর এই বক্তব্য আসলে মমতার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা এবং জয় বাংলা শ্লোগানের প্রতিই নিরুদ্ধ বিক্ষোভ, রাজনৈতিক মহলের একাংশ তাই মনে করেন। এদিন আরো একবার সেই একই মন্তব্য ছুঁয়ে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী, “পশ্চিমবঙ্গের বাংলাদেশ হয়ে উঠতে বেশি দেরি নেই।”
গতকাল মহিষাদলের জগৎপুরে আয়োজিত হিন্দু জাগরণ মঞ্চের একটি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতার প্রসঙ্গ তুললেন তিনি। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কপিলমুনি আশ্রমের মোহান্তের উক্তিকেও তীব্র কটাক্ষ করেন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি গঙ্গাসাগর সফরে কপিলমুনির আশ্রমে গিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই আশ্রমের প্রধান মোহান্ত জ্ঞানদাসজি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী হওয়া থেকে মমতাকে কেউ রুখতে পারবেনা। আমরা তাঁকেই প্রধানমন্ত্রী রূপে দেখতে চাই।”
মহিষাদলের সভায় এদিন সেই বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,”কপিলমুনি আশ্রমের প্রধান মোহান্তকে আড়ালে নিয়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চয়ই কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তাই তিনি আগামীর প্রধানমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হবেন, একথা বলেছেন!” শুভেন্দু অধিকারীর আরো সংযোজন, “আগামী দিনে সনাতনীদের জাগ্রত হতে হবে। নাহলে কোনও উপায় নেই। আমাদের সবাইকে এগিয়ে এসে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
মোহান্তর এই বক্তব্য প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই প্রতিক্রিয়া দিয়ে রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “ভাল কথা। সবাই তো আর এক কথা বলবেননা! রাজ্যসরকার আশ্রমে অনেককিছু দেয়। সারা দেশের সাধু নতুন ভারত দেখছেন , ইনি আলাদা কিছু বলতেই পারেন।”
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই কপিলমুনি আশ্রম দর্শন করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা রূপে মর্যাদা দেওয়ার দাবি তুলে ধরেছেন।