বিধানসভা নির্বাচনে নিজের দল বিজেপির উদ্দেশ্যেই আর্থিক কেলেঙ্কারির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তথাগত রায়। তেমনই এক ঘটনা আচমকা প্রকাশ্যে চলে এল। বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে ২৩ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন পটাশপুরের প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি মানসরঞ্জন সামাই। প্রার্থী করা হয়নি, উপরন্তু টাকাও ফেরত পাননি তিনি। তৎকালীন রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ উচ্চ নেতৃত্বকে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন , সেই চিঠিতে আত্মহত্যা করার হুমকি পর্যন্ত রয়েছে। সোমবার এই চিঠি প্রকাশ্যে এসেছে। এই চিঠির সত্যমিথ্যা সংবাদ মাধ্যম দ্বারা যাচাইকৃত নয়, তবে মৌখিকভাবে একটি সংবাদমাধ্যমে চিঠিটি লেখার কথা স্বীকার করেছেন বিজেপির এই প্রাক্তন বিধায়ক।

গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিতে নাম লেখানোর জন্য দলে দলে হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। সেই সময়েই পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের বিজেপি নেতা মানসরঞ্জন সামাই কয়েক দফায় মোট ২৩ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চার সহ সভানেত্রী মুক্তারুন বিবিকে।
প্রার্থীর টিকিট পাইয়ে দেবেন এই আশ্বাস দিয়ে মুক্তারুন বিবি ওই টাকা আত্মসাৎ করে নেন বলেই অভিযোগ উঠেছে। মানসরঞ্জনের বক্তব্য অনুযায়ী, “বিজেপিরর সাথে সক্রিয় ভাবে যুক্ত থাকার জন্য আমার কাছে প্রার্থী হবার প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু প্রচুর টাকার বিনিময়ে টিকিট দেওয়ার শর্ত হয়েছিল।”
এরপর মানসবাবু জানান তিনি রাজি হয়ে যান। নিজের সঞ্চিত অর্থ ছাড়াও বিভিন্ন জনের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা তিনি যোগাড় করেন। মোট পাঁচ দফায় তিনি সব মিলিয়ে ২৩ লক্ষ টাকা তুলে দিয়েছিলেন মুক্তারুন বিবিকে।

মানসরঞ্জন বলেন, “প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হবার পর দেখি কোথাও আমার নাম নেই। তখন আমার টাকা আমি ফেরত চাই। কিন্তু টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন মুক্তারুন বিবি। এরপর রাজ্য নেতৃত্বকে বিয়ষয়টি জানিয়ে চিঠি লিখতে বাধ্য হই।”
এই চিঠিতে টাকা ফেরত না পেলে আত্মহত্যা করবেন বলেও হুমকি দিয়েছিলেন মানসরঞ্জন সামাই। চিঠিটি জনসমক্ষে প্রকাশ হয়ে পড়ায় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব অস্বস্তির মুখে পড়েছেন। এতদিন ওই চিঠিটা সম্ভবত গোপন রেখেছিলেন মানসরঞ্জন, তবে কীকরে হঠাৎ প্রকাশ পেয়ে গেল সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি তিনি।