আর মাত্র কয়েক ধাপ এগোলেই শিম্পাঞ্জি মানুষ হয়ে উঠত। কে জানে ‘আই লাভ ইউ’ বলে উঠত কিনা!
প্লেটোনিক প্রেমের ছোঁয়ায় তাকে প্রায় মানুষ করেই তুলেছিলেন বেলজিয়াম চিড়িয়াখানার নিয়মিত ভিজিটর এক মহিলা – নাম এডি টিমারম্যান্স।
গত চারবছর ধরে চিড়িয়াখানায় আসছেন এডি। প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত। এই চারবছর ধরে শিম্পাঞ্জি চিতার সাথে গড়ে ওঠে এক অদ্ভুত ভাব বিনিময়, কোন ভাষায় হয়েছিল, না সেটা ধরতে পারছেন না কেউ। তবে চোখের পাহারায় মাঝে মাঝে ধরা পড়ে গেছে তাদের পরস্পরকে ছুঁড়ে দেওয়া চুমু। কাচের বাউন্ডারির দুপার থেকে দীর্ঘ সময় একসাথে কাটানো। আর তাতেই ঘটেছে ফ্যাসাদ।

এই অসম প্রেমের কথা জানতে পেরে ওই মহিলার প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। মুখে স্বীকার না করতে পারলেও নিজের আচরণে এই প্রেমের কথা স্বীকার করে নিয়েছে ৩৮ বছর বয়সী প্রেমিক শিম্পাঞ্জি চিতা। প্রেমিকা এডির সাথে দেখা সাক্ষাৎ বন্ধ হওয়ায় শিম্পাঞ্জি চিতা এখন ভীষণ অবসাদগ্রস্ত। একা।
কেমন করে সবার কাছে ফাঁস হয়ে গেল এই গোপন প্রেম?
উচ্ছাসবশত এডিই জানিয়ে ফেলেছিলেন “আমরা পরস্পরকে খুব ভালোবাসি”।
এই সরল কথা সহজভাবে বলায় এতবড় খেসারত দিতে হবে ভাবতেও পারেননি। তিনি রীতিমতো অবাক! কেন চিতার সাথে তাঁকে দেখা করতে দিচ্ছেনা, কেনই বা প্রবেশ বন্ধ করে দিল চিড়িয়াখানা? উদ্বিগ্ন ভাবে বারবার এ প্রশ্ন করছেন তিনি।
মানুষের চিড়িয়াখায় এই অসম প্রেম অদ্ভুতই বটে! কিন্তু পশুজগতের কাছে? দেখে নেওয়া যাক কী বলছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ!

তাদের মতে এই সম্পর্ক অন্য শিম্পাঞ্জিদেরও প্রভাবিত করছে । একজন মহিলার কাছে এতক্ষণ ধরে সময় কাটানো কিছুতেই মেনে নিতে পারছেনা তারা। তাই চিতার সঙ্গ ত্যাগ করে চিতাকে একঘরে করে দিয়েছে তার সমাজের মানুষ..থুড়ি শিম্পাঞ্জি পরিজনরা।
এখন ভাবনা, অবিবর্তিত শিম্পাঞ্জি পরিবারের প্রেমিক চিতা আর জটিল মানুষের দুনিয়ার নিয়ম ভাঙা এডি, এই দুজনের একে অপরকে ছেড়ে থাকা আদৌ সম্ভব কি?
