স্কুল ছুটদের স্কুলে ফেরাতে শিক্ষকরা এবার উপস্থিত হয়েছেন । এ ঘটনা ফারাক্কা নুর জাহানারা হাই মাদ্রাসা স্কুলের ঘটনা। করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ দেড় বছর স্কুল বন্ধ থাকার পর দেখা গিয়েছে যে বেশিরভাগ ছাএ ছাএী অনুপস্থিত স্কুলে।
অনেকেই বিয়ে হয়ে চলে গেছে শ্বশুরবাড়ি। অনেক ছাএ আবার বাবা দাদার সঙ্গে অন্য রাজ্যে কাজে চলে গিয়েছে। তাদের বাড়ির থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে তারা আর কখনো স্কুলে যাবে না। এমন পরিস্থিতি দেখে শিক্ষকরা তাজ্জব বনে গিয়েছে। তাই তারা বিভিন্ন বাড়ি গিয়ে কতটা কাজ ফলপ্রসূ করতে পারবেন তা কিছুটা চিন্তার বিষয়।
ফারাক্কার মহেশপুর , শিবতলা, বটতলা এই সব এলাকা গুলিতে কিছুদিন আগে পর্যন্ত বোমা গুলির আওয়াজ পাওয়া যেত। এখানে সব সময় পুলিশ প্রশাসন সতর্ক থাকতো এই সব সংঘর্ষ বন্ধ করার জন্য। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ ক্যাম্প করা হয়।

একটা সময় লোক জন ঘর থেকে বেরোতে ভয় পেত। কিন্তু সমস্ত বাধা কাটিয়ে যখন একটু একটু করে স্কুল শুরু হলো তখন আবার করোনার হানা। তখন আবার স্কুল বন্ধ হয়ে যায়।
২০১৭ সালে ৮০ জন ছাত্র ছাত্রী স্কুলছুট হয়ে যায় তাদের ফের ভর্তি করানো হয় স্কুলে। পরের বছর আরও কিছু স্কুলছুট পড়ুয়াকে নিয়ে আসা হয়েছে স্কুলে। বতর্মানে স্কুলের ছাত্র সংখ্যা ৯৫৪ জন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোঝানোর পর কিছু কিছু পড়ুয়া স্কুলে ফেরাতে আশ্বস্ত করেন বাড়ির সদস্যরা। তাদের বোঝানো হয়েছে গ্ৰামের শিক্ষার প্রসার হলে গ্ৰামে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ গড়ে উঠবে