শুধুমাত্র সামাজিক মাধ্যম (Social Media) হিসেবে সীমাবদ্ধ না থেকে বহির্দুনিয়ায় নিজের পরিধি আরো সম্প্রসারিত করতে চায় ফেসবুক। ইতিমধ্যেই অনেকে জেনেছেন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রামকে একত্রিত করে কেন্দ্রীয় (Centralized) সংস্থার নাম রাখা হয়েছে মেটা (Meta). বৃহত্তর ক্ষেত্রে পরিধি বাড়ানোর সাথে সাথে সুরক্ষা অর্থাৎ সিকিউরিটি সিস্টেমেও প্রযুক্তিগত বদল করা হচ্ছে ধাপে ধাপে। যার শুরুতেই ফেসবুকে এই মূহুর্তে চালু একটি বিশেষ প্রযুক্তিগত ফিচার বন্ধ করতে চলেছে ফেসবুক সংস্থা।

ভার্চুয়াল বাস্তবতা এবং সেই জগতে নিজের সরাসরি উপস্থিতি ব্যাপারটা খুবই চমকপ্রদ কিন্তু এক চান্সে বুঝে ফেলা একটু কঠিন। প্রাথমিক ভাবে ধরে নিতে পারেন — একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী বাইরে থেকে সংযুক্ত না থেকে ভার্চুয়াল দুনিয়ায় সরাসরি ঢুকে যেতে পারবেন। এমনই এক যুগান্তকারী বদল আনতে চলেছে Meta তাদের বিভিন্ন অনুষঙ্গের মাধ্যমে।

তবে শুরুতেই ব্যবহারকারীদের সিকিউরিটির ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে, যে অভিযোগ এতকাল যাবৎ অগণিত ফেসবুক ব্যবহারকারীরা করে আসছেন। সেই কারণে চলতি কিছু প্রযুক্তিতে বদল আনতে চলেছে ফেসবুক। যাতে সহজেই তথ্য ফাঁস না হয়, প্রয়োজনে বিশেষ কিছু ফিচার বন্ধ করা হতে পারে।
সেই অনুযায়ী ইতিমধ্যে ফেসবুক ঘোষণা করেছে আগামী সপ্তাহ থেকেই যে বিশেষ ফিচারটি বন্ধ হতে চলেছে তা হল — ফেস রেকোগনিশন (Face recognition)। যে পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য — আপনার বন্ধুতালিকায় যারা রয়েছেন, তাদের মুখের আদল অনুযায়ী নাম বসানো।
ধরুন, গ্রুপ ছবিতে ৪ জন রয়েছেন, ছবিটি আপলোডের সময়ে প্রতিজনের মুখে নাম বসানোর জন্য একটি অপশন দেখানো হয়, নাম বসালে আপনা থেকেই তার প্রোফাইলের সাথেও ট্যাগ হয়ে যায় ছবি। এটি হয় ফেস রেকোগনিশনের মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, এর ফলে অসংখ্য ব্যক্তির ছবির আদল নাম দ্বারা চিহ্নিত হয়ে যায়। এই বিশেষ ফিচারটি বন্ধ করা হচ্ছে আগামী সপ্তাহেই।

উল্লেখ্য, এই ফিচারের প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ২০১৯ সালে ফেডারেল ট্রেড কমিশনকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা দিয়েছিল ফেসবুক। তখন থেকেই বহু ব্যবহারকারীর অভিযোগ ছিল এই ফিচার সম্পর্কে। তাই আগামী সপ্তাহ থেকেই ফেস রেকোগনিশন পদ্ধতি বন্ধ করে দিচ্ছে ফেসবুক। এরপর আপনি না চাইলে কোনো ভিডিও বা ছবি কারুর সাথে আপনা থেকেই ট্যাগ হবেনা।
এ প্রসঙ্গে Meta সংস্থার এআই ইউনিটের সহসভাপতি জেরোম পেস্টি জানিয়েছেন, “ফেস রেকোগনিশন প্রযুক্তি বন্ধ হবার ফলে ১ বিলিয়নেরও বেশি সংখ্যক মানুষের চেহারার টেমপ্লেট মুছে যাবে। ফলে ব্যবহারকারীর চেহারা সংক্রান্ত আইডি প্রকাশ নিয়ে অনিশ্চয়তাও কেটে যাবে অনেকটাই “।