রাজনৈতিক মানচিত্রে তৃণমূলের সাথে বামেদের সম্পর্ক জায়গা বিশেষে আলাদা। পশ্চিমবঙ্গে যতোটাই তাঁদের খেয়োখেয়ি, ত্রিপুরায় ততটাই যেন সহমর্মী ভাব। গোড়া থেকেই একে অপরের প্রতি আক্রমণের বিরুদ্ধে পাশে দাঁড়িয়ে গলা মেলাতে দেখা যাচ্ছে দুই দলকে। এবারেও তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিপ্লব দেব সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হল সিপিএম।

রবিবার তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ গ্রেপ্তার এবং মহিলা থানার বাইরে বিজেপির হিংসাত্মক কার্যকলাপের ঠিক পরেই ত্রিপুরা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী একটি প্রেস বিবৃতি দিয়েছে। এই বিবৃতিতে সিপিএম নেতা রাখাল মজুমদার বলেছেন, “সিপিএম রাজ্যসম্পাদকমন্ডলী এই বর্বরোচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছে”। এরপর অবস্থা বর্ণনা করে তিনি আরো বলেন, “অবস্থা রাজ্যে পুরসংস্থাগুলির নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই বেশি করে শাসক বিজেপির সন্ত্রাস বাড়ছে। থানার ভেতরে জিজ্ঞাসাবাদ চলার সময় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা থানা চত্বরে ঢুকে তৃণমূলের নেতা নেত্রীদের আক্রমণ ও ভাঙচুর চালায়”।

তৃণমূলের প্রতি হওয়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে বলার পাশাপাশি সিপিএমের ত্রিপুরা রাজ্যসম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী ত্রিপুরার রাজনৈতিক সংস্কৃতি নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বলেন, “এই রাজ্যের ঐতিহ্য সুনাম এবং গর্বের যাকিছু অবশিষ্ট রয়েছে তাও শেষ করে দিতে চাইছে বিজেপি। এই ধ্বংসলীলা রুখতেই হবে। আসুন, সবাই মিলে একসাথে পথে নামুন”।
এদিকে রবিবার সায়নী ঘোষকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তারের ঘটনা এবং থানায় ঢুকে হেলমেট পরা দুস্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সাথে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। ত্রিপুরায় সন্ত্রাসের প্রতিবাদে দিল্লীতে তাদের ধর্নায় বসার পরিকল্পনাও রয়েছে।