না, নির্বাচন এখনই নয় তবে হবে। তার কারণ আগামীকাল বাবুল সুপ্রিয় বিজেপির সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন। আর তাই সুনিশ্চিত ভাবেই আসানসোলের সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে উপনির্বাচন তো হবেই। নিয়ম সেটাই বলে। তবে আগামীর সেই উপনির্বাচন ঘিরে আগে থাকতেই শুরু হয়ে গেছে জল্পনা। সেটা ছড়িয়েছে বাবুলেরই একটি কথায়।

তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর সাংসদ পদের ইস্তফা নিয়ে বাবুলকে নানা প্রশ্নের তীর ছুঁড়ছিল গেরুয়া শিবির। তৃণমূলের পক্ষ থেকে আগেই ঘোষণা ছিল যারা আসবেন, পদত্যাগ করে আসবেন। বাবুল সুপ্রিয় জানিয়েছিলেন, লোকসভার স্পিকার সময় না দেওয়ার জন্যেই পদত্যাগে দেরির কথা। তার সপক্ষে মাননীয় স্পিকারকে দেওয়া চিঠিও সর্বসমক্ষে মেলে দিয়েছিলেন দলছুট বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়।
অবশেষে সময় মিলল। স্পিকার সময় দিয়েছেন ১৯ অক্টোবর। অর্থাৎ আগামীকালই ইস্তফা দিতে চলেছেন বাবুল। সেই মর্মেই আজ ট্যুইটারে বাবুল জানান, “স্পিকার ওম বিড়লাকে আমি শ্রদ্ধা জানাই আমাকে আগামীকাল সময় দেওয়ার জন্য। কাল সকাল ১১ টা নাগাদ তিনি সময় দিয়েছেন। আমি তাঁর হাতে পদত্যাগ পত্র জমা দেবো। এরপর থেকে বিজেপি সাংসদ হিসেবে কোনও অর্থ বা সুযোগ সুবিধা নেবনা। যে বিজেপির জন্য আমি একটি আসনে জিতেছিলাম, সেই বিজেপির কোনো অংশ আমি আর নই..” এই কথার সূত্র ধরেই শেষ লাইনে যা বলেছেন বাবুল তাতেই উস্কে উঠেছে জল্পনা।

“…I am no longer a part of BJP that I won the seat for. If I have it in me, will win it again.”
আমার মধ্যে যদি কিছু থাকে, আমি আবার জয় লাভ করব! তার মানে আসানসোলে যে উপনির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে কি বাবুলই তৃণমূল প্রার্থী হতে চলেছেন ?
এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। আগাম জয়ের ঘোষণা ইঙ্গিত দিচ্ছে পদত্যাগী আসানসোলের সাংসদ আবার সেই আসানসোলেই তৃণমূলের হয়ে দাঁড়াতে পারেন।
কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার এই সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছেনা। অনেকে মনে করছেন এই অঙ্কেই ঘুঁটি সাজাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।