আগামী ৩০ অক্টোবর অন্য তিন কেন্দ্রের সঙ্গে কোচবিহারের দিনহাটা কেন্দ্রেও রয়েছে উপনির্বাচন। আর সেই নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে বিএসএফ ক্যাম্পে কেন গেছিলেন বিজেপি নেতারা? উঠল তীব্র অভিযোগ।
সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরেই রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। আর গিয়েই সীমান্ত এলাকার পরিধি বাড়ানো নিয়ে একদফা সমালোচনা করে বলেছেন, “বিএসএফকে আমি সম্মান করি। কিন্তু যে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা এসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তাঁরা সীমান্তে সংঘাত বাড়াতে চান”।

কেন্দ্রের এই নীতির প্রশ্নে একদিকে যখন তৃণমূল নেত্রী সরব, ঠিক তখনই কোচবিহারে নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে বিএসএফ ক্যাম্পে সুকান্ত মজুমদার ও দিলীপ ঘোষের দেখা মিলল। নির্বাচন ঘোষণার পর দিনহাটায় চালু হয়েছে নির্দিষ্ট আচরণ বিধি, তা সত্ত্বেও ভোটের প্রচার করার মূহুর্তে কোন অভিসন্ধি নিয়ে বিএসএফ ক্যাম্পে গেছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব? এ বিষয়ে কঠোর অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
অপরদিকে বিএসএফ ক্যাম্পে ডিআইজির সঙ্গে দেখা করা নিয়ে দিলীপ ঘোষ জবাব দিয়েছেন, “আমি যেখানেই যাই, সেখানে বিএসএফ অফিসারদের সঙ্গে দেখা করি। এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা নিয়েই আলোচনা করি। দিল্লীতে গিয়েও দেখা করেছি”।
রামের আদর্শ ভাই ভরতের মতোই অগ্রজের সুরে সুর মিলিয়েছেন বিজেপির নব্য রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বলেছেন, “উনি এমনটাই করে থাকেন। লোকসভার নির্দিষ্ট কমিটির সদস্য বলেই উনি বিভিন্ন এলাকার বিএসএফ অফিসারদের সাথে দেখা করেন”।
তাই বলে, নির্দিষ্ট বিধি লঙ্ঘন? শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার এ কেমন নমুনা! সেই প্রশ্নই তুলছে ঘাসফুল শিবির। নির্বাচন কমিশনের কাছে এব্যাপারে তাঁরা সওয়াল করেই ছাড়বেন। তার কিছু কারণও আছে।

কেননা, এর আগেই সীমান্তে বিএসএফের ক্ষমতাভুক্ত এলাকার পরিধি বাড়ানো নিয়ে সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, “উনি কিছুই মানেননা। সংবিধান, কোর্ট কাছারি কিছুই না। যেদিন ওনার ভাইদের ধরে বিএসএফ জেলে ঢুকিয়ে দেবে সেদিন উনি বুঝবেন”।
দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পর বিএসএফ ক্যাম্পে সাক্ষাৎ অভিসন্ধির জল্পনাকেই আরো তীব্র করে তুলল।