হরিদ্বারে আয়োজিত বিতর্কিত উস্কানিমূলক ধর্মীয় সভা (Dharam Sansad) নিয়ে এবার সোচ্চার হল তৃণমূল কংগ্রেস। ধর্ম নিয়ে হিংসাত্মক এই সভার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ এবং দোষীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বর হরিদ্বারে ধর্ম সংসদের একটি ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হয়। যেখানে স্পষ্টতই শোনা গেছে গেরুয়াধারী বক্তাদের মধ্যে কয়েকজন ‘মুসলিম নিধনের জন্য অস্ত্র সংগ্রহ’, ‘বড়দিন উৎসবে ভাঙচুর’, পূর্বতন প্রধানমন্ত্রী ‘মনমোহন সিংকে খুন’ এইসব একাধিক হিংসামূলক বক্তব্য রেখেছেন।
এই সভার এক মূখ্য সদস্য জিতেন্দ্রনাথ (ধর্মান্তরিত হিন্দু ওয়াসিম রিজভি)-র বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ১৫৩-র এ ধারায় মামলা দায়ের হলেও পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। এবার সেই দাবিতেই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কেউ কেউ তৃণমূলের এই পদক্ষেপে উত্তরপ্রদেশেও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশ নিয়ে শুরুতেই কোনওরকম মাথা ঘামায়নি তৃণমূল কংগ্রেস । ত্রিপুরা, গোয়া, মেঘালয়, অসমে ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতা বিস্তারের লক্ষ্যে সংগঠন বিস্তারে অগ্রসর হয়েছে। নভেম্বরে দিল্লী সফরকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছিলেন,
“উত্তরপ্রদেশ আমাদের রাজনৈতিক অধিকারের মধ্যে পড়েনা। ওখানে অখিলেশ যাদব রয়েছেন। দরকার হলে তাঁকেই সহায়তা করা হবে।” তাই সাম্প্রতিক ধর্মীয় বিতর্কে তৃণমূলের পদক্ষেপ ক্ষমতা বিস্তারের সাংগঠনিক কৌশল বলে মনে করা যায়না। এটা একেবারেই স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ বলে একাংশ মনে করছেন।
হরিদ্বারের তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র সাকেত গোখলে হরিদ্বারের জ্বালাপুর থানায় লিখিত অভিযোগটি করেছেন। তাঁর সাফ বক্তব্য, “উত্তরাখণ্ডে নির্বাচন আসন্ন। তার আগে বিজেপির সহায়তায় এই উস্কানিমূলক সভার আয়োজন করা হয়েছে।” তিনি আরো বলেছেন, “যদি এই ঘৃণ্য ধর্মসভার আয়োজকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে কমিশনের উচিত হরিদ্বারের গাড়োয়াল রেঞ্জের আইজি থেকে ওসি সবাইকে ট্রান্সফার করে দেওয়া।”

উল্লেখ্য, হরিদ্বারের এই রুদ্ধদ্বার ধর্মীয় সভার মূল আয়োজনকারী ছিলেন ধর্মগুরু নরসিংহানন্দ। এছাড়াও ‘হিন্দু রক্ষসেনার’ প্রোবোধানন্দ গিরি এবং উদিতা ত্যাগী, অশ্বিনী উপাধ্যায় প্রমুখ বিজেপি নেতানেত্রীও উপস্থিত ছিলেন।