বাঁকুড়ার বিভীষণ হাসদাঁকে চেনেন এলাকার সবাই। ভোটের আগে বাঁকুড়ায় এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিভীষণের বাড়িতেই দুপুরের খাওয়া সেরেছিলেন। দিয়েছিলেন তার মেয়ের চিকিৎসার প্রতিশ্রুতিও। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি। ভোট মিটে যাওয়ার সাথে সাথে সেই প্রতিশ্রুতি হয়তো ভুলেও গেছেন অমিত শাহ।

২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাঁকুড়ায় প্রচারে এসেছিলেন অমিত শাহ। সেই সময়ে এলাকার বেশকিছু তফশিলি পরিবারের দরিদ্র কুটিরেই মাটিতে পাত পেতে খেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তেমনই একজন বিভীষণ হাসদাঁ। সাধারণ এক জনমজুর। যার মেয়ে গুরুতরভাবে অসুস্থ, এমনকি চিকিৎসা করাবার সামর্থটুকু তাদের নেই।
এই পরিবার তাদের সাধ্যমতো রকমারি রান্না সাজিয়েই অভ্যর্থনা জানিয়েছিল মাননীয় মন্ত্রী অমিত শাহকে। দুপুরে খেতে বসে গালভরা প্রশংসা করে গরীব বিভীষণ হাসদাঁর মেয়ের অসুখের কথা শুনে আশ্বাস দেন সম্পূর্ণ চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন। দরকার হলে দিল্লীর AIIMS হসপিটালে বন্দোবস্ত করে দেবেন বলেও তিনি কথা দিয়েছিলেন। কিন্তু ভোট মিটতেই গোটা ব্যাপারটা গিমিক বলেই সাব্যস্ত হল।
হাসদাঁ পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মেয়ের চিকিৎসার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কোনোরকম সাহায্যই করেনি। বিভীষণ হাসদাঁ বলেছেন, “প্রতি বছর মেয়ের চিকিৎসার জন্য পাঁচ হাজার টাকা লাগে। একবছর পরেও মেয়ের ওই চিকিৎসার জন্য কেবল জনমজুরির সামান্য উপার্জনই ভরসা। কোথায় AIIMS? কোথায় গেলেন অমিত শাহ?”
বরং পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। হাসদাঁ পরিবার জানিয়েছে অসুস্থ মেয়েটির জন্য ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করে এলাকার বিডিও কথা দিয়েছেন ভবিষ্যতেও যেকোনো সমস্যায় তাঁরা পাশে থাকবেন। নির্দিষ্ট সময়ে ওষুধপত্র পৌঁছে দেওয়া হবে।

বিজেপির ওই প্রতিশ্রুতি কি তাহলে আদিবাসী ভোট টানবার উদ্দেশ্যেই ছিল? বাঁকুড়ার জনসাধারণ সেই প্রশ্নই করেছেন।