ফের মুখোমুখি রাজ্যপাল বনাম মুখ্যমন্ত্রীর দ্বন্দ্বযুদ্ধ। গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যসরকারের প্রতি অসহযোগিতার মনোভাব দেখিয়ে চলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এমনটাই মনে করছে তৃণমূল। কখনও ‘মা কিচেন’-এর টাকার হিসাব, কখনও পেগাসাস কমিশনের সত্বর রিপোর্ট তলব , ইত্যাদি নানা উপায়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে হয়রান করছেন তিনি। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর পদ নিয়েও তৃণমূলের সাথে একপ্রস্থ বাগবিতন্ডা হয়ে গিয়েছে। যেখানে ব্রাত্য বসু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম প্রস্তাব করলে, রাজ্যপাল ভীষণ ক্ষুণ্ণ হন।
এদিন আচমকাই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় গোয়ার পুরোনো এক বক্তৃতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মন্তব্য করেছিলেন সেটা মনে করিয়ে খোঁচা দিলেন, জানালেন এই মন্তব্য পেয়ে তিনি স্তম্ভিত! মমতা কথাপ্রসঙ্গে রাজ্যপালের উল্লেখ করতে গিয়ে বলেছিলেন, “রাজভবনে এক রাজা বসে আছেন…” এই ধরনের উক্তিকে অসাংবিধানিক ও অপমানজনক মনে করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ট্যুইটে সেই ক্ষোভ উগরে দিয়েই রাজ্যপাল ইঙ্গিত করেন এধরনের উক্তি অমর্যাদাপূর্ণ এবং এখনও অনেক প্রশ্নের উত্তর তিনি রাজ্যসরকারের কাছ থেকে পাননি, সেই দাবিও করেছেন।
রাজ্যপালের এই ট্যুইট সম্পর্কে তৃণমূলের রাজ্যসম্পাদক কুনাল ঘোষ মমতার বক্তব্য সম্পূর্ণ সমর্থন করে সোজাসুজিই বলেছেন, “রাজ্যপাল একটি সাংবিধানিক ও মর্যাদাপূর্ণ পদ, তাকে আমরা নিশ্চিতভাবেই সম্মান করি। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে জগদীপ ধনখড় যা করছেন, আসলে তিনি বিজেপির প্রতিনিধিত্ব করছেন। তাকে আবার মান অপমান!”
এই কটাক্ষ তুলে কুনাল ঘোষের আরো সংযোজন,”যার মান থাকে তাকে অপমান করা যায়। ওনার কোনও সম্মানবোধ নেই। যে পদে উনি বসে আছেন তার সম্মান ভুলুন্ঠিত করছেন। ফলে সমালোচনা তো শুনতেই হবে।”