বন্ধু ছিলেন, সহযোদ্ধা ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। দল বদলের পর সেই বন্ধুরই ভোলবদল দেখে কষ্ট পেয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। আজ পুরভোটের ফলাফল নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে আবেগরুদ্ধ হয়ে আসে ফিরহাদের কন্ঠস্বর। কিছুটা আনন্দে, আর বাকিটা পুরোনো বন্ধুর অধোগমনের ফলে।
সংবাদ মাধ্যমে বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে বলতে গিয়ে ফিরহাদ বলেন, “অতিমাত্রায় বিজেপি। কমিউনাল টু দি পাওয়ার ইনফিনিটির পর্যায়ে চলে গেছে।”
অত্যন্ত সাম্প্রদায়িক! এই প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া পর ফিরহাদ বলেছেন ,”কষ্ট হতো। বাংলার মানুষ এই বিভেদের নীতি পছন্দ করেননা। তাই এধরনের রাজনীতি করা উচিত নয়।”
আসলে দলত্যাগ করে বিজেপিতে যাওয়ার পরেপরেই তুরন্ত রঙ বদল করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। হিন্দু-মুসলিম বিভেদের প্রসঙ্গ তুলে নানাভাবে পুরোনো দলকে কটাক্ষ শুরু করেছিলেন।
এমনকি ফিরহাদ হাকিমের রাজনীতিকে ‘মিনি পাকিস্তান’ বলেও ইঙ্গিত করতে ছাড়েননি। সেইসব কথা মনে পড়তেই চোখ জ্বালা করে ওঠে ফিরহাদের, তিনি খোলাখুলিই প্রশ্ন রেখেছেন, “ছোটবেলা থেকে সম্পর্ক। তাই কষ্ট হত, শুধু রাজনৈতিক অবস্থান বদলেছে বলে এত অপমান করবে?
নিজের দেশের নাগরিক আমি। এই দেশকে ভালোবাসি। শুধুমাত্র অন্য ধর্মে জন্মেছি বলেই পরীক্ষা দিয়ে যেতে হবে? এটা অত্যন্ত অপমানজনক। ভীষণ গায়ে লাগে। অবশ্য এর জবাব আমাকে দিতে হয়নি। বাংলার মানুষই এর জবাব দিয়েছে।”
জবাব যে সত্যিই দিয়েছে মানুষ, কলকাতার হাওয়ায় উড়ন্ত সবুজ আবিরই তার প্রমাণ। সবশেষে ফিরহাদ হাকিমের বার্তা, “ভারতবাসী আমি। জন্মেছি এই ভারতে, মরবও এই ভারতে।”