পুরভোট প্রসঙ্গে রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বের তরফে বিজেপির সহ সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছিলেন, “শুধুমাত্র হাওড়া এবং কলকাতায় ভোট কেন ?” সেই মর্মে জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয়েছিল। রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি ছিল, “গুন্ডা বাহিনীকে কাজে লাগানোর জন্যই ধাপে ধাপে ভোট করাতে চাইছে রাজ্য সরকার।
এই প্রসঙ্গেই তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছিলেন, “বিজেপি মাটিতে লড়তে না পেরে আদালতে লড়ছে। যখনই ভোট হোক বিজেপি হারবেই, এটা লেখা আছে। একসঙ্গে ভোট হলে হয়তো কমিশনের ওপর বেশি চাপ পড়বে। সম্ভবত সেকারণেই আলাদা আলাদা ভাবে পুরভোটের সিদ্ধান্ত “।

কার্যত রাজ্য সরকারের এই আলাদা আলাদা ভোটের আবেদনকেই মান্যতা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা এবং হাওড়ার মোট ৬৬ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫০ টি ওয়ার্ডে পুরভোট সংঘটিত হতে চলেছে। বাকি জায়গায় পুরভোট সম্ভাব্য ফেব্রুয়ারি মাসে ঘোষিত হবে। তবে বিজেপির দাবি — ফে
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিনের দাবি অনুযায়ী হাওড়ার মোট ৬৬ ওয়ার্ডের মধ্যে থেকে ১৬ টি ওয়ার্ডকে পৃথক করা হয়েছে। ওই ১৬ টি ওয়ার্ড বালি পুরসভার আওতায় ফেলা হয়েছে, ফলে সেই ওয়ার্ডগুলিতে আলাদা ভাবেই পুরভোট সংঘটিত হবে।

নভেম্বরের ১ তারিখে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রস্তুত। একই সঙ্গে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে তৃণমূল-বিজেপি সহ সমস্ত দল। ১৯ ডিসেম্বর কলকাতায় মোট ৭০০টি বুথ এবং হাওড়ায় মোট ১,২১৩টি বুথে ভোট গ্রহণ করানো হবে। নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত সূত্র অনুযায়ী ভোটের সময়সীমা আপাতত সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বলেই জানা গেছে। ১২ নভেম্বর থেকে প্রথম দফার ইভিএম চেকিং শুরু হয়ে যাবে।