বিএসএফের এলাকা প্রসার নিয়ে রাজভবনের সাথে নবান্নের সংঘাত চরমে। রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবের সাথে বৈঠকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় আবারো বিএসএফ প্রসঙ্গ তোলেন এবং রাজ্য পুলিশের সাথে বিএসএফের সমন্বয়ের কথা বলেন। তারপরই বিস্ফোরক তৃণমূল কংগ্রেস।
শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই “উদ্বেগজনক বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য” এসএমএস মারফত ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যস্ত রয়েছেন জানিয়ে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও স্বরাষ্ট্র সচিব বি পি গোপালিকাকে প্রতিনিধি স্বরূপ রাজভবনে পাঠান।
রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবের সাথে বৈঠকে কেন্দ্রের সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর এলাকা বাড়ানোর বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। এক্ষেত্রে “বিএসএফ ও রাজ্যপুলিশের সহযোগ এবং জরুরি ভিত্তিতে সমন্বয়ের” কথা বলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
উল্লেখ্য, প্রথম থেকেই সীমান্ত রক্ষায় বিএসএফের ক্ষমতাভুক্ত এলাকা প্রসারের কেন্দ্রীয় সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস। সম্প্রতি বিভিন্ন জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকগুলোতাও কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ‘সীমান্তরক্ষা বাহিনীর অধিকার বাড়ানোর সপক্ষে দাঁড়ানোর পরামর্শ দেওয়ার পর সরাসরি তাঁকে আক্রমণ করে বসল তৃণমূল কংগ্রেস।
ক্ষুব্ধ তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেছেন, “রাজ্যপাল ধারাবাহিক ভাবে নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে রাজ্যসরকারের কাজে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন। তিনি একথা বলার কে? রাজ্যের স্বার্থ দেখার দায়িত্ব ভুলে তিনি নিজের আর বিজেপির স্বার্থ দেখে চলেছেন!”
রাজ্যপালের এই ভূমিকা যে আসলে সাংবিধানিক ব্যবস্থার প্রতিই আঘাত, সেকথা মনে করিয়ে আরো একবার প্রতিবাদে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।