২৮ বছরের বিজেপি কর্মী , হাওড়া সদরের সভাপতি সুরজিৎ সাহাকে বহিস্কার করল তাঁর দল। সততার প্রশ্নে ‘নারদা’ প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রকাশ্যেই ‘চোর’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন সুরজিৎ সাহা। একই সঙ্গে জোর গলায় দাবি করেছিলেন দলের সাথে তাঁর ২৮ বছরের সম্পর্ক, সুতরাং শুভেন্দুর মতো নতুন নেতার কাছে উপদেশ শুনতে তিনি নারাজ। ঠিক তার কয়েকঘন্টার মধ্যেই দল তাঁকে বহিস্কার করে বুঝিয়ে দিল বিজেপি শুভেন্দু অধিকারীর পাশেই রয়েছে।

বিতর্কের সূত্রপাতটা শুভেন্দুই করেছিলেন। হাওড়া পুরনিগমের নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি বিশেষ কমিটি তৈরি করতে চাইছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আপত্তি জানান হাওড়া সদরের বিজেপি সভাপতি সুরজিৎ সাহা। তাঁর মতে আসলে এর মাধ্যমে হাওড়া জেলার বিজেপির বিধানসভা ভোটের পরাজয়ের দায় ঠেলে দিচ্ছেন শুভেন্দু। এর প্রত্তুত্তরেই শুভেন্দু বলে বসেন, “হাওড়ায় বিজেপি হেরেছে কারণ তৃণমূলের অরূপ রায়ের সঙ্গে দলের প্রার্থীদের গোপন বোঝাপড়া ছিল”।
শুভেন্দুর এই কথা শুনেই বিস্ফোরণ ঘটান সুরজিৎ সাহা। তিনিও সরাসরি ‘নারদা’-র টাকা হাতে শুভেন্দুর ধরা পড়ার প্রসঙ্গ তুলে সততার গ্যারান্টি চেয়ে বসেন।
পাশাপাশি জোর গলায় জানান, “আমি ২৮ বছর ধরে বিজেপি করছি। ৬ মাস আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা শুভেন্দু অধিকারীর কাছ থেকে দলের কর্মীদের সততার সার্টিফিকেট নিতে রাজি নই। বরং তাঁকে প্রমাণ করতে হবে তিনি কত বড় সৎ নেতা। যাদের উনি তৃণমূল থেকে নিয়ে এসেছিলেন সেই মুকুল রায়, সব্যসাচী দত্ত, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি চেড়ে চলে গেছেন। এবার তিনি বিজেপিতে থাকবেন না চলে যাবেন সেই সার্টিফিকেট বিজেপি কর্মীরা তাঁর কাছ থেকে চায়”।
এইভাবে সমস্ত ক্ষোভ উগরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সরাসরি কটূভাষায় আক্রমণ মেনে নিলনা তাঁর দল। ৬ মাস দলে আসা শুভেন্দু অধিকারীর পাশে দাঁড়িয়েই রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন “দলের বৈঠকের কথা বাইরে আনা নিয়ম বহির্ভূত”।
এই মর্মেই শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ তুলে ২৮ বছরের পুরোনো কর্মচারী সুরজিৎ সাহাকে বহিস্কার করল বিজেপি।