নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়েই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে লোডশেডিং এমএলএ বলেই খোঁচা দিলেন মৎসমন্ত্রী অখিল গিরি। ডেপুটেশনের নাম করে গ্রামবাসীদের তাতিয়ে কৃষি আধিকারিকে মারধোরের অভিযোগে ধিক্কার উঠল স্থানীয় বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ নভেম্বর নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের কৃষকরা কৃষিক্ষেত্রে সরকারি সাহায্য পাচ্ছেননা, তৃণমূলের পক্ষপাত আছে এই এই অভিযোগে কৃষিদফতরে ডেপুটেশন জমা দিতে যান। কিন্তু বাস্তবে ওই ডেপুটেশন খানিক পরেই মারদাঙ্গায় রূপান্তরিত হয়। কৃষি আধিকারিক বিদ্যুৎবরণ মন্ডলের ওপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধোর চালায় গ্রামবাসীরা। এই ঘটনায় গ্রামবাসীদের তাতানোর পিছনে স্থানীয় বিজেপি নেতাদের হাত আছে বলেই উল্লেখ করেন নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি স্বদেশ দাস। তিনি বলেন , “যারা প্রকৃত কৃষক তারা অবশ্যই সাহায্য পাবেন। কিন্তু কিছু লোককে কৃষক সাজিয়ে এনে চক্রান্ত করে গুন্ডামি কিছুতেই বরদাস্ত করা চলবেনা।”

দলের লোককে ভূয়ো কৃষক সাজিয়ে আনার স্পষ্ট অভিযোগ তুলে তৃণমূল সভাপতি সরাসরি বলেন, “বিজেপি নেতা মেঘনাদ পাল এই ঘটনার সাথে যুক্ত।”
ডেপুটেশনের নাম করে ভূয়ো লোকদের দলে ভিড়িয়ে কৃষি আধিকারিক বিদ্যুৎবরণ মন্ডলকে মারধোরের প্রতিবাদেই এদিন ধিক্কার সভার আয়োজন করেছিল রাজ্য সরকারের অধীনস্থ কর্মী সংগঠনের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটি।
নন্দীগ্রামের হরিপুর কৃষক বাজারের ওই সভায় দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়েই নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ‘লোডশেডিং এমএলএ’ সম্বোধন করে মৎসমন্ত্রী অখিল গিরি আরো বলেন, “বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে পুরোপুরি দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। সমস্ত জায়গায় ভোটে হারছে। নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেতৃত্বের বাড়িতে সিবিআই ঢোকানোর ভয় দেখাতে চাইছে। সেদিন আসলে স্মারক লিপি দেওয়া উদ্দেশ্য ছিলনা, সরকারি কর্মীকে মারধোর করাই বিজেপির উদ্দেশ্য ছিল।”