নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে। কড়া নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল। কেন একই দিনে সব জায়গায় নির্বাচন সম্ভব নয় এই প্রশ্নের পাশাপাশি নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রসঙ্গও তুলেছেন তিনি।
ইতিমধ্যেই পুরভোট নিয়ে বহু বিতর্কে জড়িয়েছে রাজ্য সরকার। সব পুরভোট একসাথে আয়োজন করার দাবিতে মুখর হয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিও। এই মর্মে রাজ্যসরকারের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেও, কার্যত রাজ্যসরকারের প্রস্তাবই শেষমেশ গৃহীত হয়।

এদিন রাজভবনে আসন্ন পুরসভা নির্বাচন নিয়েই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সাথে বৈঠকে বসেছিলের রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার। এই আলোচনাতেই কড়া প্রশ্নবাণে কমিশনারকে বিঁধলেন রাজ্যপাল। ‘কেন একদিনে সব পুরভোট সম্ভব নয়, এর কারণ জানতে চেয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট নির্দেশ দেন ‘নির্বাচন কমিশনকে রাজ্যসরকারের শাখা হিসেবে কাজ করলে চলবেনা, অথবা তাদের নির্দেশ অনুযায়ী চললেও হবেনা।’
এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনারের সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থাকা উচিত এই পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “সাংবিধানিক নিয়মনীতি মেনে চলতেই হবে। এর থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নেই।”
আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতায় পুরভোটের প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত অবগত করাতে হবে রাজ্যপালকে। সেই নির্দেশও দেন তিনি। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি এই পুরনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবি জানালেও, রাজ্যসরকারের কাছে পুলিশই যথেষ্ট বলে জানানো হয়। এদিনের আলোচনায় সেই প্রসঙ্গও তুললেন রাজ্যপাল।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরনির্বাচনের দিন নির্ধারিত হয়েছে। প্রথমে হাওড়ার উপনির্বাচনের কথা থাকলেও সম্প্রতি বালি পুরসভাকে হাওড়া থেকে বিযুক্ত করা হয়েছে। ফলে পুরসভা এলাকার বিন্যাসের নিয়ম বদলের ফলে এখনই হাওড়ায় নির্বাচন সম্পর্কে স্পষ্টত কোনও ঘোষণা এখনও করা হয়নি।
উল্লেখ্য, সমস্ত জায়গায় একসাথে পুরনির্বাচন হলে তৃণমূল কংগ্রেসের হেরে যাওয়ার সম্ভাবনার ইঙ্গিত করেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। যেকারণে সময় নিয়ে ধাপে ধাপে নির্বাচন করার স্ট্র্যাটেজি নিয়েছে তৃণমূল, এমনই দাবি করেছিল বিজেপি। রাজ্যপালের সাথে নির্বাচন কমিশনারের আলোচনায় বিষয়টি আবারো উঠে এল, এবং সরাসরি নির্বাচন কমিশনের সাথে রাজ্যসরকারের যোগসাজশের ইঙ্গিত করে কমিশনারকে আগাম সতর্তবার্তা দিয়ে দিলেন রাজ্যপাল।