পূর্বে পর্যবেক্ষণ করে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছিল যে বহিরাগত উস্কানির জেরেই প্রতিবারই অশান্ত হয়ে উঠে বিশ্বভারতী।বাস্তব ঘটনা দেখা যাচ্ছে অন্য রকম। বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতীর সমস্ত ভবনের অধ্যক্ষ, বিভাগীয় প্রধান এবং আধিকারিকদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন।বিশ্বভারতীর উপাচার্য।সেই বৈঠকে আবার ও বিতর্কে জড়ালেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক চুরি প্রসঙ্গে তুলে, অনুব্রত মণ্ডলকে নাম না করে ‘বাহুবলী’ বলে বিতর্কে জড়ালেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য।অনুব্রত মন্ডল ছাড়াও বিশ্বভারতীর অধ্যাপকদের ‘চোর, ধান্দাবাজ’ বলেন বিদ্যুৎ বাবু। বৈঠকে উপাচার্য জানিয়েছেন, অনুব্রত মন্ডলের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ভীষণ ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।উপাচার্যের বক্তব্য বিশ্বভারতীর নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীরা কর্তৃপক্ষকে থানায় অভিযোগ করতে নিষেধ করে থাকেন। অনুব্রতের কাছে নাম চলে গেলে তাঁদের এলাকা ছাড়া হতে হবে বলে দাবী উপাচার্যের।বিশ্ববিদ্যালয়ে চুরি আটকাতে হলে ভবনগুলিকেই নিজ দায়িত্ব নিতে হবে বলেও জানিয়ে দেন বিদ্যুৎ বাবু।
অভিযোগ এই যে বিশ্বভারতীর অধ্যাপকদের ও চোর, ধান্দাবাজ বলেছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।একজন অধ্যাপকের চাকরি অনুব্রতের পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে বলেও উপাচার্য অভিযোগ করেছেন। বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবনে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র চুরির প্রসঙ্গ টেনেও উপাচার্য বলেছেন সঙ্গীত ভবনে বিখ্যাত কীর্তনিয়া সুমন ভট্টাচার্যের চাকরি হয়েছে উপাচার্যের জন্য।সঙ্গীত ভবনের অন্য অধ্যাপকরা স্বাভাবিকভাবে ঐ অধ্যাপককে অপছন্দ করা স্বত্তেও তাঁর কথার ভিত্তিতে চাকরী হয়েছে। উপাচার্যের এই বিতর্কিত মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক ছড়িয়েছে। এবিষয় উপাচার্যের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর এই বিতর্কিত মন্তব্যে স্পষ্ট যে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতিকে নিশানায় রেখেছেন উপাচার্য। এখন দেখার বিষয় বিতর্কের জল কত দূর পর্যন্ত গড়িয়ে যায়।