গোয়ায় দাঁড়িয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, লড়াইটা বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। কংগ্রেস আলাদাই লড়ুক কিংবা একসাথে, বিজেপিকে উৎখাত করে গোয়ায় ‘জোট সরকার’ গঠন করা হবে।
জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের সাথে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব অব্যাহত। তাই কংগ্রেস ধারণা পোষণ করছিল, বিজেপির সুবিধার ক্ষেত্র প্রস্তুত করতেই গোয়ায় লড়াই করছে তৃণমূল। সেই সুযোগে বিজেপিও রটনা করে চলেছিল, তৃণমূল লড়লেই তাদের সুবিধে, কারণ তাতে বিরোধী ভোট ভাগ হয়ে যাবে। এমনটাই জানাচ্ছে স্থানীয় সূত্র।
এবার সমস্ত ধারণা এবং রটনার বিপক্ষে দাঁড়িয়ে গোয়ার মাটিতে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াটাকেই প্রাধান্য দিয়ে তৃণমূল নেত্রী বললেন, “আমরা ভোট ভাগ করতে আসিনি। আমি বা অভিষেক এখানে মুখ্যমন্ত্রী হতে আসিনি।”
সংগ্রামের এক নির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করতে মমতার বক্তব্য, “লড়াইটা কংগ্রেস তৃণমূলের সঙ্গে বিজাপির নয়। এটা বিজেপির বিরুদ্ধে গোয়ার লড়াই। বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভাঙতে পারে, আর তৃণমূল প্রতিশ্রুতি দিলে তা রক্ষা করে এটা ফারাক। ”
গোয়ায় ‘আম আদমি পার্টির’ সাথেও তৃণমূল জোট করতে রাজি। যদিও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সিদ্ধন্তের ওপরই তা নির্ভর করছে। কংগ্রেসের অবস্থান তাদেরই ইচ্ছায় ছেড়ে দিয়েছন তৃণমূল নেত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা ভোটে লড়ব। কেউ চাইলে সঙ্গে আসতেই পারে।”
তবে কংগ্রেসের সাথে কোনও বিভাজন স্বেচ্ছায় তৈরি করছেনা তৃণমূল। মমতার বক্তব্য, “বাংলায় যদি কংগ্রেসের তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটে লড়তে পারে, তাহলে গোয়ায় পারবেনা কেন? ১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি হয়। আমরা ভাবতাম কেউ না কেউ তো বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে! কিন্তু দেখলাম কারুর সে ইচ্ছাই নেই। সে কারণেই বিজেপিকে হারাতে আমাদেরই উদ্যোগী হতে হল।”
গোয়ায় ক্ষমতায় এলে ৬ মাসের মধ্যে উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন মমতা। জানালেন, “গোয়ায় ক্ষমতায় আসবে এমজিপি জোট সরকার। আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি।” গোয়ার তৃণমূল কর্মী সমর্থক সাধারণ মানুষকে উদ্দেশ্য করে মমতা জানতে চান, “আপনাদের আমি এত পছন্দ করি বলেই বারবার ছুটে ছুটে আসছি। কী মনে হয় আপনাদের, আমরা জিতবো তো?”
তৃণমূল গোয়ায় বহিরাগত নয়, এই দাবি করে গোয়ার মাটিতে জয় একরকম নিশ্চিত করেই মমতা বললেন , “আমি গোয়ার মানুষের ভাষা বুঝি। গোয়ায় বাংলার মতোই খেলা হবে।”