রেগে গেছে বিজেপি। দিদি ২০২৪ মিশন-এ এবার ইন্দ্রসভা হাতছাড়া হবার ভয়টাই কি আসল রাগের কারণ?
দশপ্রহরণধারিনী দূর্গা তৈরি হচ্ছে তাদের জন্য। আসন্ন যুদ্ধে দেবীর হাতে বধ হতে চলেছে মহিষাসুর। চালচিত্রের আলো ঠিকরে প্রতিফলিত হচ্ছে ‘বিশ্ববাংলা’ লোগো। চর্মচক্ষে যেন এই দৃশ্যটাই দেখতে পাচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব। না কল্পনা নয়, সত্যিই বাগুইআটিতে ঘটতে চলেছে এমনটাই।
‘রণদুন্দুভি’ বেজে উঠেছে।
বাগুইআটির নজরুল পার্ক উন্নয়ন সমিতির এবারের পূজোর থিম ‘তুমিই ভরসা’। হুবহু মমতা ব্যানার্জীর আদলে তৈরি হচ্ছে দুর্গাপ্রতিমা। প্রতিমা শিল্পী মিন্টু পাল। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন এটাই তাদের প্রথম থিম পূজো। শুধু চেহারার আদলেই নয়, অভিনব এই মূর্তির উচ্চতা এবং ওজনও রাখা হচ্ছে একেবারে ‘দিদির’ সাথে সমতূল্য রেখেই।
থাকছে দশটি হাত। আর দশ হাতে দশ অস্ত্র হিসেবে থাকছে রাজ্য সরকারের ১০টি প্রকল্প। স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষীর ভান্ডার , খাদ্যসাথী প্রভৃতি। এই রণযজ্ঞের সৃষ্টিকর্তা প্রতিমা শিল্পী মিন্টু পাল জানিয়েছেন, দেবী দূর্গার পরণে থাকবে সাদা শাড়ি ও হাওয়াই চপ্পল। আর এসব কান্ডের কথা শুনে বিজেপি রেগে কাঁই!
কেন্দ্রীয় আইটি সেলের চিফ অমিত মালব্য কড়া ভাষায় ট্যুইট করেছেন “ এটা দেবী দূর্গার অপমান। উনি হিন্দু বাঙালিদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করছেন”। মমতার হাতে নাকি বিধানসভা ভোট পরবর্তী মারপিটের রক্ত লেগে আছে এমন মন্তব্যও করেছেন তিনি।
পূজো উদ্যোক্তা কমিটি বা প্রতিমাশিল্পী অবশ্য এত কিছু তলিয়ে ভাবেননি, যতটা বিজেপি নেতারা ভেবে ফেলেছেন। এই পূজোয় তাঁদের উদ্দেশ্য “মমতাময়ী দেবী দূর্গাকেই তুলে ধরা। শিল্পীর সরল বক্তব্য “এর মধ্যে দিয়ে কোনো রাজনৈতিক বার্তা দিতে চাইনি। তাই যদি চাইতাম, তাহলে মহিষাসুরের জায়গায় বিরোধীদলের কোনো নেতার মুখ বসিয়ে দিতাম”।
ব্যস তাহলেই ষোলো কলা পূর্ণ হতো! এমনিতেই যা হচ্ছে তার জেরে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ‘ভোঁস’ করে উঠে প্রতিক্রিয়া দিয়ে ফেলেছেন। ঈশ্বরের সাথে সমতুল্য হওয়ার অহংকার বোধ এবং বিবেচনা শক্তি নষ্ট হবার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে শুভেন্দুর ট্যুইটে।
নাকি ভয়? মমতারূপীনি দেবী দূর্গাকে?