রাজ্য নেতৃত্বের প্রতি তীব্র অসন্তোষ! নাকি ব্যক্তিগত অসূয়া? রাজনীতিতে রূপা গাঙ্গুলীর মতি বোঝা দায়।
সম্প্রতি তাঁর একের পর এক আচরণ দেখে হিমসিম খাচ্ছে বিজেপি শিবির।রাজনৈতিক সৌজন্যের তোয়াক্কা না করে যেভাবে সদ্য প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর দিনই কটূক্তি ভাষা ছুঁড়েছিলেন, তেমনই অভদ্রভাবে বিজেপির বৈঠক ছাড়লেন রূপা গাঙ্গুলী। রূপার এই আচরণ নিয়ে গুঞ্জন ছড়ালো রাজনৈতিক মহলে।
অনেকে রূপা গাঙ্গুলীর এই আচরণে যুক্তিসংগত কারণ আছে বলেই মনে করছেন।
আসন্ন কলকাতা পুরসভা নির্বাচন নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে ভার্চুয়াল বৈঠক ডাকা হয়েছিল। পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার সহ উচ্চ নেতৃত্বরা। আলোচনা প্রসঙ্গে পুরভোটের একটি প্রার্থী তালিকার কথাও উঠে আসে। কিন্তু এই নিয়ে দলীয় কর্মীদের মধ্যে ভালো না মন্দ, উচিত না অনুচিত কোনও প্রতিক্রিয়াই লক্ষ্য করা যায়না! সকলেই কেমন যেন নিষ্ক্রিয়, মনোবলহীন! তাই মিটিং জমছিলনা, সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী এমনটাই জানা যাচ্ছে। আর ঠিক তখনই নাকি আসরের মাঝখানেই ‘কাট অফ’ করে বৈঠক ছাড়েন রূপা গাঙ্গুলী; ছাড়ার আগে বলে যান, ‘এই ধরনের বৈঠকে যেন আমাকে আর না ডাকা হয়!’
রূপার এহেন আচরণে রীতিমতো হতবাক ও ক্ষুব্ধ বিজেপি শিবির। তবে এই ঘটনার সত্য অসত্য নিয়ে সুকান্ত মজুমদারের কোনওরকম প্রতিক্রিয়া মেলেনি। বিজেপির সর্বভারতীয় সহপভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “তাঁকে (রূপাকে) যাঁরা আমন্ত্রণ করেছিলেন, এবিষয়ে তাঁরাই বলতে পারবেন।”
কার্যত এভাবেই প্রসঙ্গ এড়াতে চেয়েছেন দিলীপ ঘোষ। আর তাই রূপার অসৌজন্যমূলক আচরণের গুঞ্জন কিছুটা হলে সত্যির দিকেই ইশারা করছে। বিপক্ষ সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে নাহয় কারণ একটা আন্দাজ করে নেওয়া যায়, কিন্তু নিজের দলের নেতৃত্বের প্রতি কেন এই অমান্য আচরণ?
প্রশ্নটা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কানাকানি শুরু হয়ে গেছে।