খাস দক্ষিণ কলকাতার বুকে ভবানীপুর জায়গাটিতে ‘নানা ভাষা নানা পরিধানের’ বসবাস। ‘বিবিধের মাঝে মিলন মহান’ এই ভবানীপুরকে তাই বিশেষজ্ঞরা মিনি ইন্ডিয়া বলে থাকেন।
ভবানীপুর তৃণমূলের ‘বেসক্যাম্প’। কেননা ‘হেডকোয়ার্টার’ যদি হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটকে ধরা হয়, ভবানীপুর তার হাতের নাগালে। উপনির্বাচনে তাই ভবানীপুর কথা বলবে। ভবানীপুরই বলে দেবে ২০২৪ এ তাদের সম্ভাবনা কতদূর! এমনটাই মনে করছে তৃণমূল শিবির।
ভবানীপুরের ২ টি ওয়ার্ড ৭০ এবং ৭৪ নম্বরেই তৃণমূলের নজর বেশি, যেখানে তারা পিছিয়ে। তাই ওই দুটি ওয়ার্ডে বড় বড় নেতা সহ কল্যাণ বন্দ্যীপাধ্যায়, সুব্রত বক্সিও দেখা দিয়ে গেছেন।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১১ সালের বিধানসভায় যেবার জিতলেন মমতা, সেসময় সাংসদ ছিলেন তিনি। তাই মমতাকে আবার উপনির্বাচনে লড়তে হয়েছিল। এই সেই ভবানীপুর — বিপুল ভোটে এখান থেকেই জিতেছিলেন মমতা। সিপিএম প্রার্থী নন্দিনী মুখোপাধ্যায়ের সাথে ৫৪,২১৩ ভোটের ব্যবধান ছিল।
সেই ছিল ইনিংসের সূচনা।
এরপর ২০১৬ সালের বিধানসভাতেও ভবানীপুরই লড়াইয়ের কেন্দ্রস্থল। সেবার ৬৫,৫২০ ভোট পেয়ে সিপিএমকে দারুন ব্যবধানে হারিয়ে মমতা ব্যানার্জী জিতলেও বিজেপির প্রার্থী চন্দ্র কুমার বসুর ঝুলিতে ভোট পড়েছিল ২৬, ২৯৯। প্রায় ১৫ শতাংশ ভোট বেড়েছিল বিজেপির।
তার পরেরবার ২০২১ এ একটা এক্সপেরিমেন্টাল থিওরি নিয়ে হঠাৎ নন্দীগ্রামের প্রার্থী হয়ে দাঁড়ান মমতা, এবং শুভেন্দু অধিকারীর বিপরীতে হেরে যান। এক্সপেরিমেন্ট ব্যর্থ হয়।
এবার তাই মাটি কামড়ে ভবানীপুর। ঘরের মেয়ে ফিরে এসেছেন ঘরে। প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি।
কেননা ‘মিনি ইন্ডিয়া’ যে বিজেপিও দখল করতে বদ্ধ পরিকর। আর ভবানীপুরের অন্তর্গত ৭০ এবং ৭৪ ওয়ার্ডের বড় সংখ্যক ‘গুজরাটি’ ভোট যদি একবার মমতা ব্যানার্জী পান, দিল্লীর রাস্তা মসৃণ হবে বলেই মনে করছে তৃণমূল।
তাই উঠে পড়ে লেগেছেন তারা ‘লড়কে লেঙ্গে ভবানীপুর’।