শুধুমাত্র ভবানীপুর কেন্দ্রেই উপনির্বাচন কেন? প্রশ্নটা উঠেছিল আগেই। বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপির পূর্বতন রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ আরও অনেকেই এর বিপক্ষে ইঙ্গিত করেছিলেন। “মুখ্যমন্ত্রী নিজের সিট বাঁচাতেই ভবানীপুরে নির্বাচন চাইছেন” স্পষ্টতই ছিল এই অভিযোগ।
এই প্রশ্নকে কেন্দ্র করেই হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের শুনানিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামা তলব করল হাইকোর্ট। শুক্রবারের মধ্যেই হলফনামা দিতে হবে ।
নির্বাচন কমিশনের তরফের বিবৃতিতে বলা হয়েছিল — “১৬৪ (৪) ধারা অনুযায়ী একজন মন্ত্রীকে বিধানসভার সদস্য হতেই হবে। অন্যথায় ফলাফল প্রকাশের ছমাস পর তাঁর মন্ত্রীত্ব চলে যাবে ।এর ফলে সাংবিধানিক সংকট দেখা দিতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মুখ্যসচিবের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী বলা হয়েছিল রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি আগের চেয়ে নিয়ন্ত্রিত। এছাড়াও বন্যা পরিস্থিতির কোনোরকম প্রভাব এই ভবানীপুর কেন্দ্রে পড়বেনা। তবেই নির্বাচনের সপক্ষে মত দিয়েছিল কমিশন।
কিন্তু মামলাকারী আইনজীবী প্রশ্ন তুলে বলেছেন,” মুখ্যসচীব শুধু একটি কেন্দ্রের জন্যই ভোটের দাবি করেছেন। এটা তাঁর এক্তিয়ারের বাইরে। এর মাধ্যমে তিনি একজনকেই জেতাতে চাইছেন!”
যাবতীয় প্রশ্নই উঠছে একটি মাত্র কেন্দ্রের একজন জনপ্রতিনিধির প্রতি পক্ষপাত নিয়ে। কার্যত বিরোধীদের বক্তব্যই ঘুরে ফিরে এসেছে এই মামলায়। যার সপক্ষে সুর তুলেই মামলাকারী আইনজীবী বলেছেন,” মুখ্যমন্ত্রীই মুখ্যসচীবকে প্রভাব খাটিয়ে নিজের কেন্দ্রে ভোট চেয়ে চিঠি লিখিয়েছেন “।
নির্বাচন কমিশনের কাছে এই মর্মেই হলফনামা চেয়েছেন উচ্চ আদালত।