নিন্দুকেরা আড়ালে নাম দিয়েছেন ‘দুকূল রায়’। এই নামের তাৎপর্য বঙ্গবাসী জানেন। বিজেপির টিকিটে জিতে কৃষ্ণনগরের বিধায়ক হয়েই আমি চললাম বলে ফিরে গিয়েছেন তৃণমূলে; ওদিকে তৃণমূলে যাওয়ার পরেও গুলিয়ে ফেলে নিজেকে বিজেপি সদস্যই ভাবছিলেন। তবে জানলে অবাক হতে হচ্ছে এখনও পর্যন্ত মুকুল রায় সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারলেননা, তিনি কোন দলে!
এবার সুপ্রিম কোর্টের তাগাদা বিধানসভার স্পিকারকে। নির্দেশ মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক! উল্লাখ্য, মুকুল রায় একইসাথে বিজেপির বিধায়ক এবং পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদ ধরে রেখেছেন, আসলে যেটি অবৈধ। কিন্তু বিধানসভার স্পিকার বারংবার ডেকে পাঠানো সত্ত্বেও আসেননি মুকুল রায়।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় দলত্যাগ বিরোধী আইনে হাইকোর্টে মামলা করেন। দাবি একটাই –মুকুল রায় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিন, না দিলে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান পরিস্কার করুন। সেই মর্মেই স্পিকারকে তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত জানাতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। যেহেতু বিধানসভায় চলাকালীন মামলায় হাইকোর্ট সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারেননা, তাই এরপর সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি তুলে ধরেন স্পিকার। এর পরবর্তী পদক্ষেপ তাহলে কী?
বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “গোটা বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ না আসা পর্যন্ত বিধানসভার শুনানি স্থগিত রাখা হয়েছে”।
২২ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিন ঠিক হয়েছে। ততদিন পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারীদের অপেক্ষা করতেই হবে। কিন্তু মুকুল রায় কেন এখনও ইস্তফা দিচ্ছেন না? কিসের অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি? আবার বিজেপিতেই ফিরে আসার কোনও সুপ্ত ইচ্ছা রয়ে গেছে কি? সেই দ্বন্দ্বেই দুলছে রাজনৈতিক মহল।