দেশজুড়ে এবার বিশেষ থিম নির্ভর ট্রেন চালু করার কথা ঘোষণা করল ভারতীয় রেল। সাধারণ ট্রেনের থেকে আলাদা তো বটেই, পর্যটকদের কাছে এই ট্রেন বিশেষভাবে আকর্ষণীয় হতে চলেছে। প্রস্তাবনা রেখেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এই বিশেষ থিম প্রযুক্ত ট্রেনগুলির নাম দেওয়া হচ্ছে ‘ভারত গৌরব’ ট্রেন। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন এমূহুর্তে প্রায় ১৯০ টি ‘ভারত গৌরব’ ট্রেন চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
কী বিশেষত্ব থাকছে এই ট্রেনে? তার স্বল্প ব্যাখা দিয়ে মঙ্গলবার রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সংবাদ মাধ্যমে বলেন, “এই ট্রেনগুলি রোজকার ট্রেন হবেনা। যা টাইম টেবিল মেনে দৌড়বে। এই ধরনের থিমনির্ভর ট্রেনের জন্য ১৯০ টি ট্রেন (মোট ৩,০৩৩ টি কোচ) আমরা বেছে নিয়েছি। যাত্রীবাহী এবং পণ্যবাহী ট্রেনের পর আমরা ‘ভারত গৌরব’ ট্রেন চালাতে শুরু করব। সেই ট্রেনগুলি ভারতের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য তুলে ধরবে”।
বোঝাই যাচ্ছে নির্মাণ সজ্জায় ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যবাহী নিদর্শনে নবরূপে এই বিশেষ ট্রেনগুলি সেজে উঠবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মনে করছেন এই নতুন উদ্যোগকে ভারতীয়রা সাদরে অভ্যর্থনা জানাবেন। অবশ্যই এই রেলে সফর হবে বিশষ সময়কালীন।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই ‘রামায়ণ এক্সপ্রেস’ নামে বিশেষ ট্রেন চালাতে শুরু করেছে ভারতীয় রেল। ৭ নভেম্বর তারিখে দিল্লীর সফদরজং স্টেশন থেকে সেই ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে; রামচন্দ্রের সাথে সম্পর্কিত ভারতের ১৫ টি জায়গা, যেমন– অযোধ্যা, রামেশ্বরম, চিত্রকূট, প্রয়াগ, জনকপুর ইত্যাদি স্থানে প্রদক্ষিণ করবে এই ট্রেন। ১৭ দিনে প্রায় ৭,৫০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রমের পরিকল্পনা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে এই ‘রামায়ণ এক্সপ্রেস’।
‘ভারত গৌরব’ ট্রেনগুলিকে এই বিশেষ রামায়ণ এক্সপ্রেসেরই বৃহত্তর রূপ বলে আশা করা যায়। রেলমন্ত্রক জানিয়েছেন, পর্যটন নির্ভর এই বিশেষ ট্রেনগুলির ভাড়া ঠিক করার স্বাধীনতা ট্যুর অপারেটরদেরই দেওয়া হচ্ছে। তবে সাধ্যাতীত ভাড়া যাতে না নেওয়া হয় সে ব্যাপারে তদারকি করবে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ। এই ট্রেন চালানোর ভার প্রাইভেট সংস্থার পাশাপাশি আইআরসিটিসি-ও নিতে পারে বলেই জানা গেছে।
‘ভারত গৌরব’ ট্রেন সম্পর্কে ওড়িশা, কর্ণাটক, রাজস্থান এবং তামিলনাড়ু বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করেছে। পর্যটনের আনন্দের পাশাপাশি চলমান এই সাংস্কৃতিক আাদানপ্রদান অভিনব উদ্যোগ বলেই মনে করছে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ। এবার পর্যটকরা কী বলেন, সেটাই জানার অপেক্ষা।