এবার ভারতেও থাবা বসালো করোনার নতুন ভ্যারিয়ান্ট ওমিক্রন। কর্ণাটকে ২ জনের শরীরে এই ভাইরাসের হদিশ পাওয়া গেছে। স্বাভাবিক ভাবেই আশঙ্কায় ভারত।
সংবাদ সূত্রে জানা যাচ্ছে উল্লিখিত দুই ব্যক্তির একজনের বয়স ৪৬ ও অন্যজনের ৬৬, দুজনই পুরুষ, এবং দুজনেই আগে থেকে কোভিড পজিটিভ ছিলেন। সংশ্লিষ্ট পরীক্ষায় তাঁদের শরীরে করোনার বৈশিষ্ট্য দেখে নতুন ভ্যারিয়ান্ট ওমিক্রন বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই ২৯ টি দেশের ৩৭৩ জন ওমিক্রন সংক্রমিত। এদিনের খবরে স্বভাবতই উদ্বেগ বাড়ল ভারতের। যদিও স্বাস্থ্যসচিব লাভ আগরওয়াল সাংবাদিক বৈঠকে জানান, “আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই, তবে সচেতনতা অবশ্যই প্রয়োজন। কোভিড বিধি মেনে চলুন, এবং জমায়েত এড়িয়ে চলুন”।
দেশে কমছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি আগের চেয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে উঠলেও, নতুন ভ্যারিয়ান্ট ওমিক্রন সারা বিশ্বের চিন্তার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রবাহিত করোনার এই বিবর্তিত ভ্যারিয়ান্ট এবার উদ্বেগ সৃষ্টি করল ভারতেও। যদিও ইতিমধ্যেই কর্ণাটকে চিহ্নিত ২ ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে বলেই জানাচ্ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এছাড়াও বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের বিশেষ করে ইউরোপ ও বৎসোয়ানা সংশ্লিষ্ট ভ্রমণকারীদের চিহ্নিত করে পরীক্ষার প্রক্রিয়াও ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। চলছে করোনা আক্রান্ত রোগীদের পরীক্ষাও।
এই মূহুর্তে কর্ণাটকের ২ ব্যক্তি ছাড়া আর কারুর মধ্যে ওমিক্রন-এর বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন এই ভ্যারিয়ান্টের মিউটেশন ক্ষমতা বেশি হওয়ায় দ্রুত ছড়াবার সম্ভাবনা কয়েক গুণ বেশি, ফলে সচেতনতা অত্যন্ত আবশ্যক।
১৫ ডিসেম্বর থেকে ভারতের আন্তর্জাতিক বিমান যাত্রার ঘোষণা এই পরিস্থিতিতে স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ ভারতের ওমিক্রন আক্রান্তদের আইসোলেশনের পাশাপাশি বিদেশযাত্রীদের পরীক্ষা করানো ভীষণ জরুরি, পাশাপাশি সকলকেই কোভিড বিধি ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বনের কথা বারংবার চিকিৎসকরা উল্লেখ করছেন।