সম্প্রতি নিজের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বেকায়দায় পড়েছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। এমনকি তাঁর ‘পদ্মশ্রী’ উপাধিও কেড়ে নেওয়ার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। এরই মধ্যে বিতর্ক আরো উস্কে দিলেন ‘ড্রামাক্যুইন’ রাখি সাওয়ান্ত।
উল্লেখ্য, বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত সাম্প্রতিক বক্তব্যে বলেছেন, “১৯৪৭ সালে যা এসেছিল সেটা স্বাধীনতা নয় ভিক্ষা। প্রকৃত স্বাধীনতা ২০১৪ সালে এসেছে”। অর্থাৎ মোদী জমানায় ভারতে প্রকৃত স্বাধীনতা এসেছে এমনটাই বোঝাতে চেয়েছেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় রাখির একটি ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল। যেখানে দেখা যাচ্ছে হসপিটালের বেডে শয্যাশায়ী তিনি; নার্স ডাক্তাররা তার সেবা সুশ্রূষায় ব্যস্ত। এই ভিডিও মারফত নাটকীয় ভাবেই রাখি সাওয়ান্ত দাবি করেছেন, কঙ্গনার ওই মন্তব্যে তিনি এতটাই আঘাত পেয়েছেন যে তাকে হসপিটালে ভর্তি করতে হয়েছে। রাখির ব্লাড প্রেসার বেড়ে গেছে। হসপিটালের বেড থেকেই রাখি দুয়ো দিয়ে কঙ্গনার উদ্দেশ্যে বলেছেন, “পদ্মশ্রী সম্মান তুমি ভিক্ষায় পেয়েছো। তোমার নরকেও স্থান হবেনা!”
কঙ্গনার এই মোদীবন্দনা করতে গিয়ে দেশের স্বাধীনতাকে অপমান মেনে নিতে পারেননি অনেকেই। ইতিমধ্যেই তাঁর ‘পদ্মশ্রী’ খেতাব ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিও তুলেছেন রীতিমতো। উত্তরে কঙ্গনা জানিয়েছেন ‘পদ্মশ্রী’ ফিরিয়ে দিতে রাজি তবে তাঁর একটা প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। কঙ্গনা প্রশ্ন রেখেছেন — ১৮৫৭ সালে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রথম বিদ্রোহ হয়েছিল, যা মতান্তরে সিপাহী বিদ্রোহ বলে পরিচিত। কিন্তু ১৯৪৭ সালে এমন কোনও বিদ্রোহ আদৌ হয়েছিল কি? যদি হয়ে থাকে প্রমাণ করে দেখাতে হবে, এই শর্তেই তিনি তাঁর ‘পদ্মশ্রী’ ফিরিয়ে দিতে রাজি, নিজের বক্তব্যের জন্য ক্ষমাও চেয়ে নেবেন, নাহলে নয়।
ঝাঁসির রানী লক্ষী বাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করার সূত্রে ১৮৫৭-র বিদ্রোহের ইতিহাস নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা করেছেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। তার ফলেই ভারতের স্বাধীনতা নিয়ে তিনি এই বক্তব্য রেখেছেন। এটা নিয়ে তর্ক চলতেই পারে। তবে ২০১৪ সালটা তিনি ইতিহাসের কোন অধ্যায়ে পেলেন এই প্রশ্নটা রয়েই যাচ্ছে। যার উত্তর একমাত্র বিজেপি দলই দিতে পারে, রাজনৈতিক মহলের অনেকে তাই মনে করছেন