উপনির্বাচন ঘোষণার সময় থেকেই রাজ্যে স্কুল খোলার পরিকল্পনা চলছিন। পূজোর আগেই স্কুল খোলা হবে এমনটাই বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে অবশ্য মত বদলে একেবারে ভাইফোঁটার পরেই স্কুল খোলার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। সেই অপেক্ষাতেই রাজ্যের শিক্ষার্থী থেকে অভিভাবক সকলেই দিন গুনছিলেন। পূজো শেষ হয়ে গেল। কবে খুলছে স্কুল? জানতে উৎসুক রাজ্যবাসী।
করোনা পরিস্থিতির জেরে টানা দেড় বছর বন্ধ রাজ্যের স্কুল কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ছাত্রছাত্রীদের ওপরে। অনলাইন ক্লাস চালু থাকলেও তা যে পুরোপুরি শিক্ষা গ্রহন ও দানের মাধ্যম হতে পারে না, বিশেষজ্ঞরা এমনই মনে করছেন। তার সাথে বহু অভিভাবকও ছেলেমেয়েদের শিক্ষা নিয়ে চিন্তিত। যদিও পাশাপাশি রয়েছে করোনা সংক্রমণের ভয়। তবু যতটা সম্ভব সুরক্ষা নিশ্চিত করে স্কুল খোলার পক্ষেই রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ।
এখন প্রশ্ন দাঁড়াচ্ছে একটাই। স্কুল খুলবে কবে? শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণার অপেক্ষায় সবাই। কিন্তু পূজো শেষ হওয়ার পরেও কবে স্কুল খুলবে এখনও তা নিশ্চিত করে বলতে পারলেননা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি জানিয়েছেন চূড়ান্ত ঘোষণা করবেন মুখ্যমন্ত্রী, তার আগে কিছু বলা সম্ভব নয়।
এদিকে ভাইফোঁটার পর স্কুল খোলার প্রস্তুতি অনুযায়ী অনেক স্কুল কলেজেই সংস্কার ও পরিস্কার পরিছন্ন করা শুরু হয়ে গেছে। ইতিমধ্যেই দেশের অন্যান্য রাজ্যে খুলেও গেছে কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ এই মূহুর্তে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে। ব্রাত্য বসু জানান, “আমি শিক্ষা মন্ত্রী হলেও স্কুল খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরোটাই করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরিকাঠামো মুখ্যমন্ত্রীই ভালো বোঝেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করে তারপরেই স্কুল খোলা হবে”।
সুতরাং আপাতত পশ্চিমবঙ্গের স্কুল পড়ুয়া ও অভিভাবকদের স্কুল খোলার অপেক্ষাতেই থাকতে হবে।