নদীয়া এবং কলকাতা থেকে আসা কিছু ছেলে মেয়ে প্রচার চালাচ্ছিল — করোনার ভ্যাক্সিন নিলে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে! এই ‘অপ ‘প্রচার রুখতে ৪ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুরুলিয়ার সাঁতুরি থানার পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজন মহিলাও ছিলেন।
কিসের ভিত্তিতে এমন প্রচার চালাচ্ছিলেন তারা!
শুধু মুখে প্রচার নয়, তার সাথে ছবিসহ ছাপা লিফলেটও জনে জনে বিলি করছিলেন চার ব্যক্তি — অভিমন্যু দত্ত, জগদীশ চন্দ্র, শঙ্কর সিং এবং তানিয়া আলি। ওই বিলি করা লিফলেটের বয়ান থেকে জানা যাচ্ছে “২০ বছর বয়েসী কারুন্যা ও ১৮ বছর বয়েসী রিথাইকার মৃত্যুর কারণ হল ভ্যাক্সিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া”।
এই অভিযোগকে ভিত্তি করে ‘ভারত জাগরণ আন্দোলন’ এর নামে লিফলেটটি ছেপে বিলি করা হচ্ছিল, যাতে গোটা গোটা অক্ষরে স্পষ্ট লেখা –“কার্তিকার জন্য সুবিচার। শিশুরা আমাদের ভবিষ্যত। … কোভিড ভ্যাক্সিন মৃত্যুর কারণ” ।
প্রচার পত্রে প্রশ্নও তোলা হয়েছে, “কোভিড ভ্যাক্সিন আদৌ নেওয়ার প্রয়োজন আছে কি? মানব শরীরে ব্যবহার্য কিনা তার উপযুক্ত পরীক্ষা হয়েছে কি? .. এই ভ্যাক্সিন নেওয়ার ফলে কতজন মারা গেছেন? কতজন ক্ষতিগ্রস্ত? “
স্বাভাবিক ভাবেই হঠাৎ এই প্রচার এবং ছাপার অক্ষরে প্রশ্নগুলো পুরুলিয়ার স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
জানা গেছে ধৃত ওই চারজন কলকাতা ও নদীয়া থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে এসেছিলেন।
আশা মন্ডল নামের স্থানীয় এক মহিলা এই ভূয়ো প্রচারের কথা পুলিশকে জানিয়ে সাঁতুরি থানায় অভিযোগ জানান। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে সাঁতুরি থানার পুলিশ ওই ৪ জন প্রচারকারীকে গ্রেফতার করে। অ্যাম্বুলেন্সটিকেও আটক করা হয়েছে।
রঘুনাথপুরের আদালতের রায়ে মহিলা সহ ৪ জন ব্যক্তিকেই জেল হেপাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ঠিক কী কারণে ওই ব্যক্তিরা এমন অপপ্রচার করছিলেন! সেটা জানার জন্য তদন্ত চলছে।