টিকাদান প্রকল্পের আয়োজনে ত্রুটি নেই। কোটি কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে বলে ঘোষনা করা হচ্ছে। বাড়ানো হচ্ছে প্রতিদিনের সময়সীমাও। সম্প্রতি পুরনিগম টিকাসেন্টারগুলোয় টিকাদান শুরু ১০টার বদলে ৮টা থেকে করা হবে বলেও জানা যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ সমীক্ষা বোঝেনা। প্রতিটি ব্যক্তিই চায় হাতে নাতে নিট ফল। সে হিসেবে টিকা নিতে গিয়ে বিশেষ করে দ্বিতীয় ডোজ নেবার বেলায় হয়রান হচ্ছেন অনেকেই।
সকলে ঠিকমতো মেসেজ পাচ্ছেননা। বুঝতে পারছেননা দ্বিতীয় ডোজ কবে দেওয়া হবে।কলকাতা পুরনিগমের কর্তৃপক্ষ একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন—তাঁরা নিজেরাই এবার দ্বীতীয় ডোজ প্রাপকদের মেসেজ পাঠাবেন। এ ব্যাপারে কেন্দ্র সরকারের পোর্টাল কোউইনের ওপর পুরোপুরি নির্ভর না করে তাঁরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়েছেন সেটা ভালো, কিন্তু স্থানীয় বিশ্বস্ত সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী আরও কিছু গোলমেলে ব্যাপার ঘটছে।কোউইন থেকে মেসেজ এলেও, দ্বিতীয় টিকা অনেক ক্ষেত্রেই বিশ বাঁও জলে। তাদের জন্য বিশেষ করে যারা স্থানীয় হাসপাতাল বা মেডিকেল সেন্টার থেকে টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন।
এখানে ভ্যাক্সিন ফুরিয়ে যাওয়ার অজুহাতে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার তারিখ দুবার পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত জুলাই- আগস্ট মাসে নীলরতন সরকার হসপিটালেই ঘটেছে এমন ঘটনা। প্রশ্ন, পুরনিগমের ঘোষণা অনুযায়ী প্রতিদিন ১০০ জনের বদলে ২০০-২৫০ জনকে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত শুনতে ভালো লাগলেও, ওই ধরনের সমস্যার সুরাহা করতে পারবে কি? আরও একটি কথা, বলা হচ্ছে দ্বিতীয় ডোজ প্রাপকরা প্রায় সকলেই কোভিশিল্ড নিয়েছেন। আর যারা ফ্রি মেডিক্যাল সেন্টারগুলো থেকে কোভ্যাক্সিন নিয়েছেন, অথচ ‘ডেট’ এর ফাঁদে চরকিপাক খাচ্ছেন, তাদের কী হবে? বা যারা পিছিয়ে দেওয়া ডেটে দ্বিতীয় ডোজের মেয়াদ পেরোনোর পর টিকা নিয়েছেন, সে ভ্যাক্সিনে আদৌ কাজ হবে কি? সংখ্যাতত্ত্বের ভিড়ে এসব প্রশ্ন আড়ালেই থেকে যাচ্ছে।