tab

তালিবানদের নিয়ে মাথাব্যথা এখন গোটা বিশ্বের । আফগানিস্তান দখলের পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় বিস্ফোরণ , প্রকাশ্যে গুলি থেকে শুরু করে বাচ্চাদের পার্কে আগুন : এসবের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তালিবানি শাসন আর এবার তাতে নতুন সংযোজন কাবুল বিমানবন্দরে একের পর এক বিস্ফোরণ । 
তানিবান আর হিংসা এ দুটি এককথায় একই বৃন্তে দুটি কুসুম বলা যায় । তার ওপর পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে সুসম্পর্ক এর কারণে ভারত সহ বিশ্বের বাকি বিভিন্ন দেশের চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে তালিবানরা  যার মধ্যে অন্যতম হলো আমেরিকার মতো শক্তিশালী দেশ ও । সে দেশের সৈন্য তুলে নেওয়া নিয়ে দেশে সমালোচিত হচ্চেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন । আফগানিস্তানের মানুষ ও যে সুখে আছে তা বলা যায়না । প্রকাশ্যে গুলি , হাতিয়ার নিয়ে পথ ভ্রমণ থেকে শুরু করে মহিলাদের ওপর চাপানো একাধিক নিষেধের ফলে সেখানকার দেশের মানুষ ই যেন সারাক্ষণ ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে আছে আর তাই বহু মানুষ দেশ ছেড়ে পালানোর জন্য বিমানবন্দরে ভিড় জমাচ্ছেন । আর এর মাঝেই ঘটলো দুর্ঘটনা । 

VoiceBharat News tab


বেশ কিছুদিন ধরে দেখা যাচ্ছে , দেশ ছাড়ার জন্য কাবুল বিমানবন্দরে ভিড় জমিয়েছেন বহু মানুষ । কেউ কেউ তো প্লেনের ওপর চড়ে বসেছেন আবার কেউ রাস্তায় বসে দেশ ছাড়ার আকুতি করছে । এর মধ্যে বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরে ঘটে গেলো বিশাল বিস্ফোরণ । একটির পর একটি বিস্ফোরণ ঘটায় পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যেতে থাকে । সূত্রের খবর , বিমানবন্দরে যখন আমেরিকার সেনা এবং মানুষের ভিড় ছিলো ঠিক সেই সময় আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটে । পরে আবারো একের পর এক বিস্ফোরণের ফলে আতঙ্ক ছড়ায় সকলের মধ্যে । এখন পর্যন্ত খবর অনুযায়ী , মার্কিন সেনা সহ ৬০ জনের ওপর মানুষ নিহত হন এবং আহত হয়েছেন প্রচুর মানুষ । অবশ্য , মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে । 
বিস্ফোরণ এর পর এর দায় স্বীকার করেছে আইসিস নামক জঙ্গি সংগঠন । এই ঘটনাতে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বাইডেন বলেন , তাঁরা বিস্ফোরণে দায়ী কাউকে ছাড়বেন না । তবে আফগানদের সান্ত্বনা দিয়ে তালিবানি নেতা জানিয়েছেন , আফগানিস্তানের মাটিতে সন্ত্রাস তাঁরা বরদাস্ত করবেন না । এখন পরিস্থিতি কোনদিকে মোড় নে , সেইদিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব ।