রাষ্টায়াত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ এবং বেসরকারিকরণ থেকে ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্য ছোঁয়া অসম্ভব তা চলতি অর্থবর্ষে ইতিমধ্যেই আঁচ করছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। সাড়ে সাত মাসে বিভিন্ন সংস্থা বিক্রি করে মাত্র ৯৩৩০ কোটি টাকা আয় হয়েছে।আয়ের ঘাটতি সামলাতে যদি সরকারি খরচ ছাঁটতে হয়, সেটাও করোনাকালে অসম্ভব প্রায়।
এই পরিস্থিতিতে দুএকটি নয় প্রায় হাফ ডজন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে এই অর্থবর্ষের মধ্যেই বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।কেন্দ্রীয় সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিক বুধবার জানান বিপিসিএল, বিইএমএল, শিপিং কর্পোরেশন-সহ গোটা ছয়েক কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা কিনতে আগ্রহী।বেসরকারি সংস্থার থেকে দরপত্র চাওয়া হবে। জানুয়ারি-মার্চে প্রথম বার বাজারে আসতে চলেছে এলআইসির শেয়ারও। এটাই সরকারের এখন প্রধান লক্ষ্য।
সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে এত অল্প সময়ের মধ্যে যা বোঝা যাচ্ছে যে,এই লক্ষ্য পূরণও কার্যত অসম্ভব।শুধু এয়ার ইন্ডিয়া বেচতেই সরকারের দীর্ঘ সময় লেগেছে ।সেখানে এত কম সময়ের মধ্যে এতগুলি সংস্থার দরপত্র প্রক্রিয়া মেটানো কী করে সম্ভব হবে না বলে মনে করা হচ্ছে । এয়ার ইন্ডিয়ার বিক্রির অভিজ্ঞতা থেকে মনে করা হচ্ছে দ্রুত লক্ষ্য পূরণ হতে চলেছে।
বেসরকারিকরণের আওতায় নতুন এক পরিবেশে পা রাখছে যেখানে বিষয়টি শুধু নীতি হিসাবে থাকছে না বাস্তবে কার্যকর হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় মহল থেকে মনে করা হচ্ছে জানুয়ারি-মার্চে প্রথম বার বাজারে আসতে চলেছে এলআইসি-র শেয়ারও আর সেটাই সরকারের লক্ষ্য হতে পারে। কি হতে চলেছে সেটা আগামী বছরের প্রথম থেকেই বোঝা যাবে।